ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ ..এম. সাখাওয়াত হোসেন রচিত ভ্রমণ বৃত্তান্তটি পুরানো বিষয়ের উপর লেখা হলেও এর একটি সার্বজনীন আবেদন আছে। লেখক অত্যন্ত সহমর্মিতা আর যত্নের সাথে দিল্লি আগ্রা- রাজস্থানের বিভিন্ন চরিত্রের সুখ-দুঃখের কাহিনী সাবলীল ও প্রাঞ্জল ভাষায় বর্ণনা করেছেন। -ড. এ টি এম শামছুল হুদা
...তিনি লিখেছেন ইতিহাসনির্ভর ভ্রমণ কাহিনী। পাঠক ভ্রমণের কাহিনী আর ইতিহাসের সত্য দুই মলাটের ভেতর আস্বাদন করবেন। অবশ্য ভ্রমণের কাহিনীতে গতানুগতিকতা থাকলেও ইতিহাস যুক্ত হয়েছে যথেষ্ট গভীরতায় ; এবং যা লেখকের ইতিহাস অনুসন্ধিৎসু সমৃদ্ধ মননের দিক নিদের্শক। -ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন
......বর্ণনার একটি রাস্তা ছেড়ে অন্য রাস্তায় উঠতে মোটেও বেগ পেতে হয় না পাঠকদের । এ বইয়ের ভাষাটি গতিশীল, পাঠককে তা সহজেই ঘটনা ও বর্ণনার সমান্তরাল টেনে নেয়। বর্ণনাতেও বাহুল্য বা অকারণ পাণ্ডিত্য প্রদর্শনের প্রয়াস নেই । ফলে বইটি প্রকৃত অর্থে সুখপাঠ্য। -ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
১৯৪৮ সালে ১লা ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সনে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন এবং দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রায় দু’ বছর পাকিস্তানের বন্দি শিবিরে কাটিয়ে ১৯৭৩ সনে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং ১৯৭৫ সালে ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় কর্মরত ৪৬ ব্রিগেড স্টাফ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৭৯-১৯৮১ সনে ঢাকায় সেনাসদরে গুরুত্বপূর্ণ পদে অপারেশন ডাইরেক্টরেটে নিয়োজিত হন। পরে তিনি ব্রিগেডের অধিনায়ক হিসেবে দুটি ইনফ্রেনট্রি ব্রিগেড ও একটি আর্টিলারি ব্রিগেডের অধিনায় ছিলেন।
লেখক বাংলাদেশের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করে দ্বিতীয়বারের মত আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিখ্যাত ইউ এস এ কমান্ড স্টাফ জেনারেল কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। তিনি পাকিস্তানের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ এন ডি সি, ইসলামবাদ ইউনিভার্সিটির তত্ত্ববধানে স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে মাস্টার্স এবং ২০১১ সনে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্, ঢাকা থেকে এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি দেশী বিদেশী বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে নিরাপত্তা ও ভূ-রাজনীতি এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষণধর্মী কলাম ও বইয়ের লেখক হিসেবে অধিক পরিচিত।এ পর্যন্ত তাঁর সতেরটি বহুল পঠিত বই প্রকাশিত হয়েছে। তা ছাড়া দেশী-বিদেশী ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিরাপত্তা ও ভূ-রাজনৈতিক বিষয়ে বিশ্লেষক হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত।
২০০৭ সনের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১২ সনের ১৪ ফেব্র্রুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ বছর তিনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন