ভালোবাসার চিরন্তন কিছু চাওয়া-পাওয়া থাকে। একজন মানুষ প্রতিনিয়ত নিজেকে খুঁজে যায় তার ভালোবাসার মানুষের কাছে আর যায় বলেই, তাকে সবার থেকে সবকিছু থেকে আলাদা করে শুধু নিজের করে রাখতে চায় আর সেটা যখন পারে না তখন স্বভাবতই কিছু প্রশ্ন এসে ভিড় করে মনে। সেটা অবিশ্বাস না, সেটা শুধুই অভিমান আর জেদ। যে অভিমান দিনে দিনে জমে সৃষ্টি করে দূরত্ব। যে দূরত্ব শুধু সময়ের সাথে বাড়তেই থাকে। কে ঠিক আর কে ভুল সেটা বোঝার মতো মন তখন থাকে না। মুনা আর রেহান এমনই এক দ্বন্দ্ব আর ভুল বোঝাবুঝির সামনে দাঁড়িয়ে আছে, আর তাদের এই একটু ভুলের কারণে মাঝে এসে আজ দাঁড়িয়েছে বর্ষা। আর এই তিনজন মানুষের হাহাকার কষ্ট আর ভালোবাসা ঘিরে রচিত হয়েছে এই উপন্যাসটি। এরা সবাই ভালোবেসে কষ্টের অঝোর ধারায় ভিজে যাচ্ছে প্রতিটা মুহূর্ত। <br> সবার মতো আমরাও দেখবো নিয়তি কী নিয়ে অপেক্ষা করছে ওদের জন্য। জেদ, অভিমান আর ভালোবাসার যুদ্ধে মুনা, রেহান আর বর্ষা কোথায় যেয়ে থামে আর গন্তব্য ওদের কোথায় নিয়ে যায়। বৃষ্টি আর বেলি ফুল ছোঁয়া যে আবেগ তার শেষটুকু দেখার আমন্ত্রণ থাকলো সবার।
ফারজানা মিতু
বইমেলা ছাড়াও যারা সারা বছর লেখালেখি করে ফারজানা মিতু তাদের অন্যতম। ১১ ডিসেম্বর জন্ম নেয়া এই মানুষটির যত আবেগ সবটুকুই এই লেখালেখি। পর পর চার বছরে ২৭টি বইয়ে তিনি তার জাত চিনিয়েছে পাঠককে। তার পরকীয়াসহ অন্যান্য বই যারা পড়েছেন তারা জানেন ফারজানা মিতুর লেখা সম্পর্কে। কবিতা দিয়ে শুরু হলেও এখন একাধারে লিখে চলেছেন উপন্যাস। দেশের প্রায় সব শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকায় লিখে চলেছেন গল্প, কবিতা কিংবা প্রবন্ধ। লেখালেখির পাশাপাশি সামাজিক সচেনতামূলক বেশ কিছু কর্মকাণ্ডে তিনি রাজপথের সৈনিক। ঘুরে বেড়িয়েছেন ৩৫টিরও বেশি দেশ। মানুষের সঙ্কীর্ণতা তাকে অবাক করে তাই নিজেকে সবসময় রাখতে চেয়েছেন সব সঙ্কীর্ণতার উর্ধে কারণ একজন লেখকের চোখ আর দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে স্বচ্ছ এটাই তার বিশ্বাস। মিতুর বইয়ের প্রধান উপকরণ যা পাঠককে টানে সেটা হচ্ছে— সহজ সাবলীল কথা। মিতু এমন ভাবেই কথা নিয়ে খেলেন, যা পড়ে পাঠক কখনও হাসবেন আবার কখনও কষ্টে নীল হবেন। মিতুর বই মানে কল্পনার অস্থির জগতে স্নান। আমন্ত্রণ থাকল সেই স্নান ঘরে আবারও কষ্টের নীলে নীল হবার।