ফাহমিদ-উর-রহমানের হজ কাহিনি একটি ছবির অ্যালবামের মতো। এটা একই সাথে তার রুহানি ও তামুদ্দুনিক জার্নি। বিচিত্র সব মানুষ, দৃশ্য ও রুহানি ড্রামার এক বিশাল ক্যালাইডোসকোপ। লেখক হজের অলৌকিক রূপ-রস-বর্ণ-গন্ধ ও দৃশ্যকে অক্ষরের শৃঙ্খলে আটকানোর চেষ্টা করেছেন। যারা হজে গেছেন কিংবা যাননি, উভয়েই হতে পারেন লেখকের এই যাত্রার সঙ্গী। এভাবে লেখকের অভিজ্ঞতা হয়ে উঠতে পারে অনেকের অভিজ্ঞতা।
ফাহমিদ-উর-রহমান
আম্মা : ফজিলাতুননেসা
আব্বা : মাসুদুর রহমান
জন্ম : যশোর, ২৮ অক্টোবর, ১৯৬৩
শৈশব কৈশোর : যশোর
যশোর জেলা স্কুল ও যশোর এম. এম. কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্নাতক। পরবর্তীতে বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিসিয়ানস্ এন্ড সার্জনস্ থেকে মনোরোগবিদ্যায় স্নাতকোত্তর এফসিপিএস ডিগ্রি অর্জন। ফাহমিদ-উর- রহমান মননশীল প্রাবন্ধিক ও বুদ্ধিজীবী। ছাত্র জীবন থেকে লেখালেখি ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। বিজ্ঞানের ছাত্র হয়েও এবং পেশাগত জীবনের বাইরে তিনি নিরন্তর নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয় ও বৈশ্বিকভাবে বাঙ্গালি মুসলমানের স্থান নির্ণয়ের কাজে। সাহিত্যের নেশা তাকে টেনেছে। পেশার প্রাচীর তার কলম আটকিয়ে রাখতে পারেনি। নেশা তার বিচিত্র। ইতিহাস, সংস্কৃতি, শিল্পকলা, ধর্ম, সমাজ ও রাজনীতি - সকল বিষয়ে তার আগ্রহ। এর ভিতর দিয়ে তিনি তৈরি করেছেন বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গী যা দিয়ে তিনি হাঁটেন বহু বিচিত্র পথে। শিখেছেন স্রোতের বিরুদ্ধে কথা বলতে। প্রবল সাংস্কৃতিক ও ইতিহাস চেতনা তাকে তাড়িত করে, যার ফলে তার লেখায় থাকে তত্ত্ব, তথ্য ও ভাবুকতার এক অনন্যপূর্ব আস্বাদ, যা তাকে একজন মূলত আদর্শ সমাজবিজ্ঞানী হিসেবে চিহ্নিত করে। তার এই সাংস্কৃতিক অনুসন্ধিৎসাকে বিদ্বৎসমাজ শ্রদ্ধা জানাতে বাধ্য হয়েছেন।