ভূমিকা ১৯৩৪ সালে ‘সাম্যবাদই বা কেন’ বইটি লিখেছিলাম। ওই সময়ে হিন্দিভাষায় এই ধরনের বইয়ের অভাব ছিল। এই স্বল্পাকার বইটি পাঠকদের ভালো লেগেছে জেনে আমার প্রচেষ্টা সফল হয়েছে মনে করি। বর্তমান সংস্করণে অনেক জায়গাতেই সংশোধন করেছি, পাঠক হয়তো বা চিন্তা করেছিলেন, বইটি আকার বৃদ্ধি ঘটবে কিন্তু তার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। সাম্যবাদের বিষয় সবিস্তারে জানতে উৎসুক পাঠকদের জন্যে ইতিমধ্যেই অন্যান্য পুস্তক রচনা করেছি। আধুনিক বিজ্ঞান যে কীভাবে সাম্যবাদী ভাবনা- চিন্তাকেই সমর্থন করে- তা জানতে হলে ‘বিশ্বের রূপরেখা’ পড়তে পারেন, মানব- সমাজের বিকাশ ধারায় কীভাবে এক বিশেষ সময়ে সাম্যবাদ এসেছে, তা জানার জন্যে আছে ‘মানব-সমাজ’ , সাম্যবাদী দর্শনের জন্যে আছে ‘বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদ’ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সমস্ত দর্শনগুলির সাম্যবাদী বিশ্লেষণ করেছি ‘দর্শন-দিগ্দর্শন’ গ্রন্থে। আর ইতিহাস তা গতিপথে চলতে চলতে কীভাবে সাম্যবাদের দরজায় উপস্থিত, তা যদি কাহিনির রূপে পড়তে চান, তার জন্যে আছে ‘ভোলগা থেকে গঙ্গা’। এগুলি ছাড়াও সাম্যবাদের মহান নেতৃবৃন্দ-মার্কস, এঙ্গেলস, লেনিন ও স্তালিন এর বহু গ্রন্থই হিন্দি ভাষায় অনুবাদ করেছি। এই চিন্তা থেকেই বর্তমান গ্রন্থটির কলেবর বৃদ্ধি করিনি। মোটামুটি ভাবে দু-তিন ঘণ্টার মধ্যেই সাম্যবাদ সম্পর্কে যাঁরা জানতে এবং বুঝতে চান, তাঁদের জন্যে এই বইটিকে প্রবেশিকা বলে ধরা যেতে পারে। আর যাঁরা , আরও বিশদ ভাবে জানতে ইচ্ছুক, নিজের জন্যে এবং আগামীকালের উত্তরপুরুষ আর মানবতার কল্যাণ সাধনে যে জ্ঞান অত্যন্ত জরুরি, তাঁদের জন্য আছে আরও মূল্যবান গ্রন্থাদি। রাহুল সাংস্কৃত্যায়ন