একজন কলমযোদ্ধা কলম দিয়ে সাদা খাতায় যে আঁকি-বুকি করেন সেটি হলো কলমের কথা।
কবিতায় জীবনের কথা, জীবনবোধ, প্রেম-দ্রোহ, সংহতি ও গণঅধিকার আদায়ের চিত্র ফুটে ওঠে। কবিতার এক একটি পঙতিতে কবি যে কথাগুলো বলতে চান সেটা মূলত একটি ঘটে যাওয়া বিশাল ঘটনা অথবা সে সময়ের ভাবার্থ। পৃথিবীতে যত মানুষ আছে তাদের প্রত্যেকের বৈশিষ্ট্য আলাদা। লেখক তার চিন্তা থেকে যে কথাগুলো কবিতায় প্রকাশের চেষ্টা করেন, সেটি তার একান্ত চিন্তা ও অন্তনির্হিত ভাব। পাঠকের কবিতা পাঠে ভিন্ন বা আলাদা চিন্তার উদ্রেগ হওয়াটাই স্বাভাবিক। একটি কবিতা মানুষকে স্বপ্ন দেখায়, সাহস যোগায়, বাঁচতে শেখায়, সর্বাঙ্গীন স্বাধীনতা এনে দেয়। কলমের কথা কাব্যগ্রন্থে সমাজের প্রতি সংবেদনশীল বিষয়বস্তু, গণমানুষের অধীকার ও করুণার প্রতি সুনিবিড় পর্যালোচনা করে কবিতা লেখার চেষ্টা করেছেন। আমার এই কাব্যগ্রন্থ বাংলা কবিতার সুবিশাল ভান্ডারে ক্ষুদ্র এক সংযোজনের প্রয়াস মাত্র।
মো. সাখাওয়াত হোসেন। জন্ম গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী ইউনিয়নের চাওচা গ্রামে । পিতা : বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. ছলেমান শেখ এবং মাতা : মোসা. আফরোজা বেগম। পিতা-মাতার ছয় সন্তানের মধ্য তৃতীয় মো. সাখাওয়াত হোসেন। কিশোর বয়স থেকেই গ্রাম গঞ্জের প্রচলিত লোক কথা বলতে বলতে লিখতে লিখতে কবিতা লেখার হাতেখড়ি। এভাবেই তার কবিতার সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে। ইতোমধ্যে তার কবিতা বিভিন্ন দৈনিক প্রত্রিকা, জার্নাল ও বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের ফটোগ্রাফার হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী সমতা থিয়েটারের এবং কারক নাট্য-সম্প্রদায়ের নাট্যকর্মী।