কল্যাণপ্রত্যাশী তার জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে কল্যাণের বীজ বপন করে। সামান্য সময়ও সে অনর্থক খেল-তামাশায় কাটায় না। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে সে মূল্যবান মনে করে। তার পেশাকে সে গ্রহণ করে কল্যাণের মাধ্যম হিসেবে। তার অবসর সময়ও কাটে উত্তম প্রয়াসে। সারাক্ষণ তার চিন্তাচেতনা জুড়ে থাকে, কীভাবে অপরের উপকারে ভূমিকা রাখা যায়। তার উপার্জিত অর্থ-সম্পদ কেবল নিজ প্রয়োজনেই সে খরচ করে না; বরং এর মধ্যে দরিদ্র-দুঃস্থদেরও অংশ থাকে। কল্যাণপ্রত্যাশী দ্বীনের প্রতিটি শাখায় অবদান রাখে। সকল ইবাদতই সে আগ্রহের সাথে পালন করে। কল্যাণপ্রত্যাশী মুমিনের এমন উত্তম প্রচেষ্টার কথাই উঠে এসেছে ‘কল্যাণের বারিধারা’ নামক বইটিতে।
শাইখ আব্দুল মালিক আল কাসিম
ড. শাইখ আব্দুল মালিক আল-কাসিম। আরববিশ্বের খ্যাতনামা লেখক, গবেষক ও দায়ি। জন্মগ্রহণ করেছেন সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের উত্তরে অবস্থিত ‘বীর’ নগরীতে বিখ্যাত আসিম বংশের কাসিম গােত্রে। তার দাদা শাইখ আব্দুর রহমান বিন মুহাম্মাদ বিন কাসিম আল-আসিমি আন-নাজদি রহ. ছিলেন হাম্বলি মাজহাবের প্রখ্যাত ফকিহ। তাঁর পিতা শাইখ মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান রহ.ও ছিলেন আরবের যশস্বী আলিম ও বহু গ্রন্থপ্রণেতা। শাইখ আব্দুল মালিক আল-কাসিম জন্মসূত্রেই পেয়েছিলেন প্রখর মেধা, তীক্ষ প্রতিভা আর ইলম অর্জনের অদম্য স্পৃহা। পরিবারের ইলমি পরিবেশে নিখুঁত তত্ত্বাবধানে বেড়ে উঠেছেন খ্যাতনামা এই লেখক। আনুষ্ঠানিক পড়াশােনা শেষ করে আত্মনিয়ােগ করেন। লেখালেখিতে গড়ে তােলেন ‘দারুল কাসিম লিন নাশরি ওয়াত তাওজি’ নামের এক প্রকাশনা সংস্থা। প্রচারবিমুখ এই শাইখ একে একে উম্মাহকে উপহার দেন সত্তরটিরও অধিক অমূল্য গ্রন্থ। আত্মশুদ্ধিবিষয়ক তেইশটি মূল্যবান বইয়ের সম্মিলনে পাঁচ ভলিউমে প্রকাশিত তাঁর ‘আইনা নানু মিন হা-উলায়ি নামের সিরিজটি পড়ে উপকৃত হয়েছে লাখাে মানুষ। বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে এই সিরিজের অনেকগুলাে বই। আজ-জামানুল কাদিম’ নামে তিন খণ্ডে প্রকাশিত তাঁর বিখ্যাত গল্প-সংকলনটিও আরববিশ্বে বেশ জনপ্রিয়। সাধারণ মানুষের জন্য তিনি প্রাঞ্জল ভাষায় ছয় খণ্ডে রচনা করেছেন রিয়াজুস সালিহিনের চমৎকার একটি ব্যাখ্যাগ্রন্থ। এ ছাড়াও তাঁর কুরআন শরিফের শেষ পারার তাফসিরটিও বেশ সমাদৃত হয়েছে। আমরা আল্লাহর দরবারে শাইখের দীর্ঘ কর্মময় জীবন কামনা করি।