‘কবিতাসংগ্রহ’ বইয়ের সূচিপত্রঃ * প্রতিকৃতি - ১৫ * তৃষ্ঞার ঋতুতে - ১৫ * অন্ধকারে একদিন - ১৬ * সমুদ্র-নিষাদ - ১৬ * স্বীকারোক্তি - ১৭ * অরণ্যে অসুখী - ১৮ * বৃষ্টির অভাবে - ১৮ * তিতাস - ১৯ * মায়াবৃক্ষ - ১৯ * কঠিন সংসার - ২০ * লোক-লোকান্তর - ২১ * আশ্রয় - ২২ * লোকালয় - ২২ * নূহের প্রার্থনা - ২৩ * কাক ও কোকিল - ২৪ * করতলে - ২৫ * শিল্পের ফলক - ২৬ * রক্তিম প্রস্তাব - ২৭ * চারজনের প্রেম - ২৭ * শোকের লোবান - ২৮ * অধ্যয়ন - ২৯ * অহোরাত্র - ২৯ * এমন তৃপ্তির - ৩০ * ফেরার সঙ্গী - ৩০ * পিপাসার মুখ - ৩১ * ভেদাভেদ - ৩৩ * রুপোর রেকাবি - ৩৩ * জলছবি - ৩৪ * সত্যের আঙুল - ৩৫ * সরল ধিক্কার - ৩৬ * কালের কলস - ৩৭ * অসুখে একজন - ৩৮ * বসন্তের রাত - ৩৯ * প্রথম বৃষ্টির - ৩৯ * গ্রাম - ৪০ * আমার আগুন - ৪০ * অসীম সাহসে - ৪১ * রবীন্দ্রনাথ - ৪১ * রক্তের দিকে - ৪২ * মাংসের গোলাপ - ৪৩ * হে আচ্ছন্ন নগরী - ৪৪ * শূন্য হাওয়া - ৪৫ * শরীর থেকে মার - ৪৬ * ত্যাগে দুঃখে - ৪৬ * বাতাসের ফেনা - ৪৭ * কবিতা এমন - ৪৭ * পলাতক - ৪৮ * অন্তরভেদী অবলোকন - ৪৯ * পালক ভাঙার প্রতিবাদে - ৪৯ * খড়ের গম্বুজ - ৫১ * জাতিস্মর - ৫২ * সোনালি কাবিন - ৫৩ * তোমার আড়ালে - ৫৯ * ভাগ্যরেখা - ৬০ * শোণিতে সৌরভ - ৬০ * সাহসের সমাচার - ৬২ * ক্যামোফ্লাজ - ৬৩ * নদী তুমি - ৬৩ * সত্যের দাপটে - ৬৪ * প্রত্যাবর্তনের লজ্জা – ৬৫ * তোমার হাতে - ৬৬ * উল্টানো চোখ - ৬৭ * স্তব্ধতার মধ্যে তার ঠোট নড়ে - ৬৮ * এই সম্মোহনে - ৬৯ * যার স্মরণে - ৭০ * চোখ যখন অতীতাশ্রয়ী হয় - ৭০ * আঘ্রাণ – ৭২ * সক্রেটিসের মোরগা - ৭৩ * বুদ্ধদেব বসুর সঙ্গে সাক্ষাতকার - ৭৩ * কবি ও কালো বিড়ালিনী-১ - ৭৬ * কবি ও কালো বিড়ালিনী-২ - ৭৬ * কবি ও কালো বিড়ালিনী-৩ - ৭৭ * মায়াবী পর্দা দুলে ওঠে - ৭৮ * ফররুখের কবরে কালো শেয়াল - ৮৩ * ক্ষমতা যখন কাঁদে - ৮৫ * সবুজ ঈমান - ৮৬ * প্রকৃতি ও পুরুষ - ৮৬ * ম্যাকসিম গর্কি স্মরণে - ৮৭ * চক্রবর্তী রাজার অট্টহাসি - ৮৭ * জেলগেটে দেখা - ৯২ * একবার ডাকতেই - ৯৫ * চাঁদের দিকে - ৯৬ * হযরত মোহাম্মদ - ৯৭ * হৃদয়ের একদিকে - ৯৮ * অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না - ৯৮ * শ্রাবণ - ৯৯ * ভারসাম্যহীন মানুষ - ১০০ * আদি সত্যের পাশে - ১০১ * বিশ্বাসের চর - ১০১ * অবলোকন - ১০২ * অন্তকাল - ১০৩ * সহনশীলতা - ১০৪ * প্ৰেম - ১০৪ * মানুষের স্মৃতিস্তম্ভ - ১০৫ * প্ৰেয়সী তোমাকে - ১০৬ * কবির বিষয় - ১০৬ * স্মৃতি - ১০৬ * আরোহণ - ১০৭ * যন্ত্রণা - ১০৮ * অলীক অসতী মায়া - ১০৮ * মানুষের আদি অভ্যাস - ১০৯ * মাংসের ফল - ১১০ * বখতিয়ারের ঘোড়া - ১১০ * নারী - ১১২ * তোমার আগুন - ১১২ * সনেট:১ - ১১৩ * সনেট:২ - ১১৩ * সনেট:৩ - ১১৪ * সনেট:৪ - ১১৪ * ভারতবর্ষ - ১১৫ * তোমার শপথে - ১১৬ * মৃগয়া - ১১৭ * মওলানা ভাসানীর স্মৃতি - ১১৭ * হত্যাকারীদের মানচিত্র - ১১৮ * তোমার মাস্ত্তলে - ১১৯ * তারার রাত - ১১৯ * খোলস ছাড়ার আগে - ১২০ * অস্ত্ৰবতী প্রেমিকার গান - ১২২ * রাত্রির গান - ১১২ * যে ভালোবাসে না গান - ১২৩ * অনন্তের গান - ১২৫ * আরব্য রজনীর রাজহাঁস - ১২৬ * সাহসের উপমা - ১২৭ * নেকাব - ১২৭ * দেহতত্ত্ব - ১২৮ * কালের অভয় - ১২৮ * জীবনানন্দের প্রতি - ১২৯ * আষাঢ়ের রাত - ১৩০ * ঈশপের কাছিম - ১৩০ * অস্পষ্ট স্টেশন - ১৩৪ * জোনাকির বাসা - ১৩৬ * সীমা ছাড়ানো শিস - ১৩৬ * দহনক্রিয়া - ১৩৭ জিনিয়ার জন্য তিনটি কবিতা হায়রে মানুষ - ১৩৮ * বন্ধ ঘরে আমি - ১৩৯ * একটি শরৎসন্ধ্যা – ৪২৬ * স্বপ্নচাষি - ৪২৬ * বিস্মৃত এক নারী - ৪২৭ * শেষ বেলা - ৪২৭ * হাত বাড়িয়ে দে - ৪২৮ * মুল্য - ৪২৮ * দৃর্ভাগ্যের মোড়ে - ৪২৯ * তোমার নামটি নিশানার মতো হোক অনন্য - ৪৩০ * একটি কবিতা - ৪৩১ * দিনের অন্তে অন্ত আমি - ৪৩১ * মনপবনের নাও - ৪৩২ * শোধবোধ - ৪৩২ * দিন ফুরোল সন্ধ্যা হলো - ৪৩৩ * প্রেমের গল্প অল্পস্বল্প - ৪৩৪ * সব খেলেছি - ৪৩৫ * অশ্রু লুকানো অন্ধকারে - ৪৩৫ * রক্তবরণ পাপড়ি - ৪৩৬ * আমার বিজয় - ৪৩৬ * গৃহলতা - ৪৩৭ * ধারা বয়ে যায় - ৪৩৮ * খুশির প্রেমিকের নাম-আনন্দ - ৪৩৯ * অস্তগামী আলো - ৪৩৯ * তোমার নামের ছোবল - ৪৪০ * ক্ৰন্দন কেন বন্ধনহীনা - ৪৪১ * করতোয়া - ৪৪১ * নিজের সাথে নিজের কথা - ৪৪২ * পার হয়ে যাই জীবন-মরণ - ৪৪২ * ডাকছে পাখি - ৪৪৩ * যাচ্ছে উড়ে কবির খাতা - ৪৪৪ * বৈশাখ আসে - ৪৪৫ * এই চৈতালি মাসে - ৪৪৫ * আলোর বিচ্ছুরিত ফোয়ারা - ৪৪৬ * আমার সোনার বাটি তো আমি সীমাহীন যোন-বা প্ৰাচীন বটবৃক্ষের মতো - ৪৪৭
আল মাহমুদ
আল মাহমুদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি ব্যবসায়ী পরিবারে ১১ জুলাই ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। একুশ বছর বয়স পর্যন্ত এ শহরে এবং কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার অন্তর্গত জগৎপুর গ্রামের সাধনা হাইস্কুলে এবং পরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড হাইস্কলে পড়াশােনা করেন। এ সময়েই লেখালেখি শুরু।
তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার তিরিশ দশকীয় ভাবধারায় ভাটি বাংলার জনজীবন, গ্রামীণ দৃশ্যপট, নদীনির্ভর জনপদ, চরাঞ্চলের কর্মমুখর জীবনচাঞ্চল্য ও নর-নারীর চিরন্তন প্রেম-বিরহের বিষয়কে অবলম্বন করে আধুনিক বাংলা ভাষার প্রচলিত কাঠামােয় অত্যন্ত স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ততায় আঞ্চলিক শব্দের সুন্দর প্রয়ােগে কাব্যরসিকদের মধ্যে নতুন পুলক সৃষ্টি করেন। তিনি ১৯৭১-এর স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ।
১৯৭৫-এ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সহ-পরিচালক পদে যােগদান করেন। পরে ওই বিভাগের পরিচালকরূপে ১৯৯৩ সালের এপ্রিলে তিনি অবসর নেন।
কবিতা, ছােটগল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধের বই মিলিয়ে আল মাহমুদের বইয়ের সংখ্যা পঞ্চাশাের্ধ। আল মাহমুদ বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার ও রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশে পদকসহ বেশ কিছু সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। সৈয়দা নাদিরা বেগম তার সহধর্মিণী। তাঁদের পাঁচ পুত্র ও তিন কন্যা।