ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ ‘আর কোনো কথা না বলে পদ্মলক্ষী বাথরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করল। গায়ে একমগ জল ঢাললো সে। দরজায় টোকা দিল মোহন। ভেতর থেকে কথা বলল পদ্মলক্ষী, আজ তোয়ালে লাগবে না। না, না তোয়ালের ব্যাপার নয়। আমি তো হাত মুখ ধুইনি। তার আগেই আপনি দরজা বন্ধ করে দিলেন। আমি গায়ে জল ঢেলেছি। এখন কি দরজা খুলব? না, না। চুপসে যায় মোহন। বাথরুমের জলের শব্দ এবং চুড়ির শব্দ একাকার হয়ে যায়। দরজার ফাঁক গলে যতটুকু শ্বদ আসে কান পেতে শোনে মোহন। গোপনে উপভোগ করে।’ কবিতার বাসরঘর কোনো কবিতা সংক্রান্ত রচনা নয়। কবিতা কারো নামও নয়। মধ্যবিত্ত এক বিবাহিত তরুণ-তরুণীর যাপিত জীবন কি কবিতার ছন্দের মতো হতে পারে? আমেরিকার আইন অনুযায়ী তারা বিবাহিত স্বামী-স্ত্রী হয়েও কেন এক বছর আলাদা বিছানায় রাত কাটাল? তারা কি পরস্পর ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিল? না , মোটেও না। গল্পের ভিতরে গল্প, ভবিষ্যতের জন্য রেখে দেওয়া গল্প। তপন দেবনাথ এর উপন্যাস ‘কবিতার বাসরঘর’ চিরকালীন ভালোলাগার এক অনবদ্য রচনা , যা পাঠককে ভাবিয়ে তুলবে তার মননশীলতাকে, জাগিয়ে তুলবে ভেতরে লুকিয়ে থাকা ভালো মানুষটিকে।