ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ তাঁর পেছনে আছে বিশাল ব্যাপক এক কষি-পটভূমি, ধারাবাহিক এক স্মৃতি-পরস্পরা সমগ্র বাঙালি সত্তার।পেছনে ফেলে-আসা স্মতিঘন সেই প্রেক্ষাপট প্রায়শই ছায়া ফেলে তাঁর মননে-মনে।সর্বাংশে আধুনিক হয়েও আবহমান বাঙলার মৃত্তিকায় গভীরভাবে প্রোথিত তাঁর আবেগ; আহত হ’য়ে, আঘাতপ্রাপ্ত হ’য়ে মাঝেমধ্যে অসম্ভব রূঢ় বটে তাঁর উচ্চারণ কিন্তু গ্রাম্যতা বা স্থলতা তাঁকে আশ্রয় ক’রে লতিয়ে উঠতে পারে না;সবাংশে নাগরিক হ’য়েও তিন চান : জলের গভীরে জ্যেৎস্না, বিরল বসতি, সমূহ সারল্য, লাঙলের ফলপ্রসূ ফলা, তৃণের লাবণ্য, পরিময় বীজতলা, কয়োর মতন দৃষ্টি, পরিচ্ছন্ন হ্রদ, ব্যাপক খামারবাড়ি, লাবণ্যের ধারাবাহিকতা-শান্তিচ্ছায়াঘন এক আদিম অরণ্য।বহিরঙ্গে নাগরিক তিনি,অন্তরঙ্গে অতৃপ্ত কৃষক-এই সংগ্রহের দুই মলাটের মধ্যে উপযুক্ত বৈপরীত্যে রফিক আজাদ ধরা দেন তাঁর পাঠকের কাছে।