ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ শুধু কবি নন তিনি, গুনবিচারী পপাঠকও । কবিতার বহুরৈখিক বিশ্লেষণ আবু হাসান শাহরিয়ার সেই বিরল প্রজদের একজন, যাঁরা প্রতিটি উচ্চারণই পাঠককে ভাভায়। বাঙলা কবিতার আদি-অন্ত ছাড়াও তাঁর গদ্যে আছে বিশ্বকবিতার বিস্তীর্ণ পটভূমি। সমকালের মাঠে ঘুরতে ঘুরতেই তিনি পাঠককে নিয়ে যান কালান্তরের প্রান্তরে। পঙ্ক্তির ঢেউয়ে-ঢেউয়ে পাড়ি দেন শতাব্দীর নদী। বেদের শ্রুতিবাক্য থেকে শুরু করে বাংলা কবিতার আদি ও মধ্য যুগ ছুঁয়ে পাঠককে পৌছে দেন সমকালের বাঁকে। বাঙলা কবিতার অন্দরের গল্প শোনাতে শোনাতে খুলে দেন বিশ্বকবিতার জানালা কবাটও। বাতিল ধারণার অচলায়তন ভেঙে রচনা করেন নতুন চিন্তারাজ্য। আর তাই আবু হাসান শাহরিয়ারের গদ্য মানেই সুদূরপ্রসারী ভাবনাবিস্তার। কবিতা অকবিতা অল্পকবিতা তারই প্রমাণপত্র। নাবপ্রবন্ধটিতে পঙ্ক্তি ধরে ধরে তিনি মহার্ঘ ও লঘু কবিতার যে পার্থক্যনির্দেশ করেছেন , এককথায় তা তুলনাবিরল। ‘কবিতা ও পোস্টমডার্নিজম’ গদ্যটিতে উঠে এসেছে কবিতার সাম্পতিকতম পাঠ। বাংলা কবিতার দুই প্রবাদপুরুষ জীবননান্দ দাশ ও শামসুর রহমানের কবিতা নিয়ে দুটি বিশদ গদ্যও সূচিবদ্ধ হয়েছে। বইয়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য গদ্য- ‘কবিতার বাঁক অথবা বাংলা কবিতার ৫০ বছর’। প্রকাশমাত্রই গদ্যটি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বোদ্ধা পাঠকমহলে সাড়া জাগিয়েছিল। এতসব কারণেই নবায়নপ্রিয় কবি ও কবিতাপ্রেমীদের জন্য তো বটেই, সাহিত্যের ছাত্রছাত্রীদের জন্যও একটি অবশ্যপাঠ্য বই -কবিতা অকবিতা অল্পকবিতা।