‘কীয়েক্টাবস্থা’ লেখকের বিচিত্র অভিজ্ঞতাপুষ্ট জীবনের গল্প। এ বইটিতে উল্লিখিত সব চরিত্র বাস্তব, সব কাহিনি নির্ভেজাল সত্য। রহস্য, রোমাঞ্চ, ভ্রমণ, প্রেম, বিরহ, কিংবা একজন নিরীহ ছাত্রের গতানুগতিক জীবন এই গল্পগুলোর বিষয়বস্তু হলেও, একটি বিশেষ ক্ষেত্রে বইটি যেন এক সূত্রে গাঁথা মালা। আর সেই সুতোটি হলো প্রাত্যহিক জীবনের নানা বিড়ম্বনা। প্রতিটি গল্পের শুরুতে আমরা দেখতে পাই কিছু নিদারুণ ঘটনা, আর শেষে গিয়ে এক চিলতে রোদ্দুরের মতো এক টুকরো হাসি। ঠিক যেমনটি আমাদের যাপিত জীবন।
কীয়েক্টাবস্থার গল্পগুলোর সূতিকাগার পৃথিবীর নানা প্রান্ত। কখনো তা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েটের ছাত্রহল, কখনো তা হিমালয়ের পাদদেশ কিংবা নেপালের দুর্গম পথ, কখনো কাতারের ঊষর বিমানবন্দর, কখনো নিউ মেক্সিকো কিংবা মার্কিন মুলুকের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য।
জীবন, সে তো অনুমানের অতীত! এ কারণে ‘কীয়েক্টাবস্থা’ কোনো মিথ নয়, সত্য। যে ছেলেটি আজ সানন্দে প্রকৌশল যন্ত্র নিয়ে খুটখাট করে, যে মেয়েটি চিকিৎসক হওয়ার মানসে হাড়গোড় গোনে কিংবা যে ছেলেটি কোনো কিছুর পরোয়া না করে ভার্সিটির ক্যাফেটেরিয়ায় বসে তাস পেটায় আর সিগারেট ফোঁকে, সবাই তার নিজ নিজ জীবনের পরিক্রমায় নানা তিক্ত, বিচিত্র ও চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে যায়। অভিজ্ঞতালব্ধ হলে কেউ তা ভুলে যায়, কেউ তা মনে রাখে। আর কেউ কেউ এই তুচ্ছ লেখকের মতো তা অহেতুক লিখে রাখে।