ফ্ল্যাপে লিখা কথা “শিশুকিশোরদের চন্য, প্রবল ইচ্ছা সত্ত্বেও, আমি বেমি লিখতে পারিনি। আমার কর্ম জী্বন কেটেছে অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যে । যখন অবসর জুটল তখন শুরু হয়ে গেছে সৃজনশীলতার ভাঁটার টান। একাধিক শিশুসাহিত্য পুরস্কার পেলেও নিশ্চিত যে লেখক হিসাবে আমি মধ্যস্তর অতিক্রম করতে পারিনি। আমার লেখায় শিক্ষামূলক উপাদানের প্রাধান্য রয়েছে,ঘাটতি আছে আনন্দের । শিশু কিশোরদের আমি আসলে কী শেখাতে চেয়েছি? এককথায় বললে -ভালবাসা ও সৌন্দর্যবোধ। আমি চেয়েছি তারা প্রকৃতিকে, জীবজগৎকে, মানুষকে ভালোবাসতে শিখুক, কেননা ভালবাসাই মানবসভ্যতা ও মনুষ্যত্ব -সাধানার শ্রেষ্ঠতম অর্জন। কতটুকু সফল হয়েছি জানিনা, তবে সর্বদাই আশা করি নতুন প্রজন্ম থেকে শ্রেষ্ঠতর শিশুসাহিত্যিকরা আসবেন। আমাদের ব্যর্থতা ও সীমাবদ্ধতা তাঁরা অতিক্রম করবেন।”
সূচিপত্র * লেখকের কথা * গাছের কথা ফুলের কথা * এক. বৃক্ষপর্ব ক. এসো শ্যামল সুন্দর খ. মধু গন্ধে ভরা গ. ফুলের জলসায় ঘ. বৃক্ষে বৃক্ষে জিয়ানকাঠি ঙ. আম-কাঁঠালের মধুর গন্ধে চ. একপায়ে দাঁড়িয়ে ছ. গাছের ঘরে শত্রুমিত্র * দুই: লতাগুল্মপর্ব ক. লতা/লতানে খ. কঠিন গুল্ম গ. কোমল গুল্ম(ওষুধি) ঘ. শীতের মরসুমি ফুল ঙ. জলজ চ. অর্কিড ছ. ক্যাকটাস জ. পতঙ্গভুক ঝ. বনফুল প্রকৃতিমঙ্গল গহন কোন বনের ধারে বৃক্ষ ও বালিকার গল্প জীবনের শেষ নাই * অনুবাদ ও রূপান্তর এমি নামের দুরন্ত মেয়েটি সবুজ দ্বীপে প্রাণের মেলা
দ্বিজেন শর্মা
দ্বিজেন শর্মার জন্ম ২৯ মে, ১৯২৯ বৃহত্তর সিলেট জেলার বড়লেখা থানার শিমুলিয়া গ্রামে। পিতা চন্দ্রকান্ত শর্মা, মা মগ্নময়ী দেবী। স্নাতকোত্তর পাঠ (উদ্ভিদবিদ্যা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে । শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু।। বরিশাল ব্রজমােহন কলেজ (১৯৫৮-৬২), ঢাকা নটর ডেম কলেজ (১৯৬২-৭৪), অতঃপর মস্কোর প্রগতি প্রকাশন সংস্থায় অনুবাদক (১৯৭৪-৯১)। কর্মসূত্রে অনুদিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ত্রিশ এবং নিজের লেখা চব্বিশ তন্মধ্যে অধিকাংশ বই প্রকৃতি, বিজ্ঞান ও শিক্ষা বিষয়ক । এগুলাের মধ্যে উল্লেখ্য : শ্যামলী নিসর্গ (১৯৮০), ফুলগুলি যেন কথা (১৯৮৮), মম দুঃখের সাধন (১৯৯৪), গাছের কথা ফুলের কথা (১৯৯৯), নিসর্গ নির্মাণ ও নান্দনিক। ভাবনা (২০০০), গহন কোন বনের ধারে (১৯৯৪), হিমালয়ের উদ্ভিদরাজ্যে ড্যালটন হুকার (২০০৪), বাংলার বৃক্ষ (২০০১), সপুষ্পক উদ্ভিদের শ্রেণীবিন্যাসতত্ত্ব (১৯৮০), জীবনের শেষ নেই (২০০০), বিজ্ঞান ও শিক্ষা : দায়বদ্ধতার নিরিখ (২০০৩), সতীর্থবলয়ে ডারউইন (১৯৯৯), ডারউইন ও প্রজাতির উৎপত্তি (১৯৯৭), কুরচি তােমার লাগি (২০০৭) এবং সােভিয়েত ইউনিয়নে দীর্ঘ বসবাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা সমাজতন্ত্রে বসবাস (১৯৯৯)। বাংলা একাডেমি ও শিশু একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদকসহ নানান সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তিনি প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি, প্রকৃতি সুরক্ষা এবং নগর ও উদ্যান সৌন্দর্যায়নের এই নিরলস কর্মী আমাদের সংস্কৃতি অঙ্গণের এক বর্ণাঢ্য মানুষ।