মওলানা ভাসানীর মতো অত বড় মানুষের জীবনী, বিশেষ করে তোমাদের উপযোগী করে লেখা দুদিকে খেয়াল রেখে এগিয়েছি। তবু হয়তো মনের মতো হলো না এই আয়োজন। ছোট আয়তনের জন্য অনেক তথ্য ইচ্ছে করলেও পারলাম না দিতে।
কখনও কখনও হয়তো নিছক বিবরণী মনে হতে পারে। কোনো ঘটনারই বিস্তারিত ব্যাখ্যায় যাওয়া হয়নি।
তবুও এ বইয়ে তোমরা পাবে অনেক নতুন তথ্যর সন্ধান।
তোমাদের মেধা এবং জানার আগ্রহকে যারা ছোট করে দ্যাখে আমি তাদের দলে নই। আমি তোমাদের সম্মান করি। তাই তো জীবনীর নামে বানানো গল্প একত্র না করে, সবসময় সিরিয়াস থাকতে চেষ্টা করেছি। তথ্য যখন দিয়েছি তখন ভাষাকে তেমন তরল হতে দেইনি। যেকারণে এ বই শুধু তোমাদের নয়, বড়দের প্রয়োজনও মেটাবে আশা করি।
আবদুল হাই শিকদার
আবদুল হাই শিকদার। জন্ম ১লা জানুয়ারি ১৯৫৭। দুধকুমার নদীতীরে, কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারীর দক্ষিণ ছাট গোপালপুর গ্রামে। পিতা কৃষিবিদ ওয়াজেদ আলী শিকদার। জননী হালিমা খাতুন। মওলানা ভাসানীর দীর্ঘ ছায়ায় আশৈশব বেড়ে ওঠা। প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখার বেশির ভাগ কেটেছে রংপুরের কারমাইকেল কলেজে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়েছেন স্নাতক সম্মান, ঢাকা থেকে স্নাতকোত্তর। তার পুরো পরিবার অংশ নিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। প্রিয় কবি মনসুর বয়াতী, লালন ফকির, চণ্ডীদাস, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, ফররুখ আহমদ। স্বপ্ন ছিল চে গুয়েভারা হওয়ার। লেখালেখির শুরু স্কুল জীবনে। বিকাশ আশির দশকে। পেশা সাংবাদিকতা। বর্তমানে তিনি ঐতিহ্যবাহী ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজে’র নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি সরকারি নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নিয়মিত সাহিত্য মাসিক এখন-এর মূল স্থপতি তিনি। কবিতা, ছড়া, জীবনী, গল্প, গবেষণা, ভ্রমণ, চলচ্চিত্র সব মিলিয়ে তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক। জননেতা অলি আহাদের স্নেহধন্য তিনি। অলি আহাদের জীবনের সবচেয়ে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারও তাঁরই নেয়া।