ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ রচনাসমগ্রের ক্ষেত্রে একটি বড় সুবিধা হলো-একজন লেখকের সব লেখার সাথে পরিচিত হওয়া যায়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেই লেখকেরই রচনাসমগ্র প্রকাশিত হয়, যাদের লেখা পাঠকপ্রিয়। শাহ্জাহান কিবরিয়ার অনেক লেখাই পাঠকপ্রিয়। তাঁর মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস ‘বাঘা’ যেমন বিপুলভাবে পাঠকপ্রিয় হয়েছে, তেমনি অনেক গল্পও। মূলত শিশু-কিশোরদের জন্যই লেখেন। তাই তাঁর লেখায় শিশু-কিশোররা নিজেদের কল্পনার জগত খুঁজে পায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই। এই সূত্রে তাঁর লেখা রূপকথার গল্পগুলোর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়। রূপকথার ভক্ত নয়, এমন পাঠক বোধহয় কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। এই বইটি যেহেতু ‘কিশোর গল্পসমগ্র’ নাম ধারণ করেছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য গল্পের পাশাপাশি শঅহ্জাহান কিবরিয়ার মৌলিক কিশোর গল্পের ক্ষেত্রে বলতে হয়। গল্পগুলো নানা রঙে রঙ্গিন। রঙের উপাদানে রয়েছে শিশু-কিশোরদের ভালোলাগা, শিক্ষণীয় বিষয়বস্তু ও অনুপ্রাণিত হবার মতো আরো কিছু। লেখক যেমন একটি শিশুর ‘ঋ’ লেখার অপারগতাকে উপলব্ধি করেছেন, তেমনি শিশু-কিশোরদের কাছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বাংলার রূপ, ঐতিহ্য তুলে নেবার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এই বইয়ের গল্পগুলো শিশু-কিশোরদের গল্প পড়ার আনন্দকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে, শাহ্জাহান কিবরিয়ার লেখার নিয়মিত পাঠক হিসেবে এই আশ্বাস সম্পূর্ণরূপে দিতে পারি।