মন্দস্বভাবকে দমন করা এবং সগুণাবলীর বিকাশ ঘটানােকে তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধি বলে।
আল্লাহ তাআলার পানাহ!
বর্তমান যুগে কিছু অসাধু, পেট পূজারীরা তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধির ভুল ব্যাখ্যা করে থাকে। তারা আপন মুরিদদেরকে এ কথা বােঝায় যে, মারেফত বা আত্মশুদ্ধির পথ শরীয়ত থেকে ভিন্ন। অর্থাৎ যারা আমাদের মুরিদ হবে তাদের অন্তর পবিত্র হয়ে যাবে। তাদের আর শরীয়ত মানার (নামাজ, রােজা, হজ্ব, কুরবানি ইত্যাদি আদায় করার কোন প্রয়ােজন নেই। কোন কোন মাজার ব্যবসায়ী-ভণ্ড, ফকিরেরা এটাও বলে, শরীয়তের কাজ অর্থাৎ নামাজ, রােজা ও মহিলাদের পর্দা ইত্যাদি মনে মনে করলেই চলবে। কোন কোন পীরের কথা শােনা যায়, তারা মহিলাদেরকে সামনে বসিয়ে, হাত ধরে মুরিদ করে এবং পুরুষ-মহিলা একসাথে নাচানাচি করে জিকির করে। আল্লাহ্ তা'আলা সকল মুসলমানকে এ ধরনের ভণ্ড, দাজ্জালদের অশুভ ক্রিয়াকলাপ থেকে হেফাজত করুন। (আমীন)
মুহতারাম পাঠক একটু চিন্তা করুন! কুরআন, হাদীস অধ্যায়ন করুন এবং হক্কানি আলেম ও মাশায়েখদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করুন। ইনশাআল্লাহ দিবালােকের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, পেটপূজারী, মাজারপন্থি ঐ ভণ্ডপীরদের কথাগুলাে মিথ্যা এবং অপব্যাখ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। সৃষ্টিকূলের মাঝে সবচেয়ে বেশি মারেফত বা আল্লাহর পরিচয় অর্জনকারী বান্দা হলাে হযরত মুহাম্মদ (সা)।