আমি আর আমার দুই বোন মিলে ঘরের মধ্যে অনেক ধরনের খেলা আবিষ্কার করে খেলতাম- বেশিরভাগ সময়ই বড়দের জীবনকে নিয়ে অভিনয় করা। ওদের মতো পোশাক পরতাম আর হাজার রকম অদ্ভুত অভিনয় চালিয়ে যেতাম। আমরা খুব বড় ঘরে জন্মাইনি কিন্তু বাবার উপার্জিত টাকায় ভালোই চলত। এই সব খেলা আমার চেতনাজুড়ে ছিল, অসাধারণ লাগত। কখনো কখনো খেলা বিপজ্জনকও হয়ে উঠত। আমি যখন আট তখন আমার এক বোনের এক নখই উঠিয়ে ফেলেছিলাম দুর্ঘটনাবশত। আমার মনে ঘটনাগুলো গেঁথে ছিল।
বড় হয়ে বুঝলাম থিয়েটার হচ্ছে সেই খেলা যা কৃত্যে রূপ নেয়। যখন খুনিদের রাত লেখা শুরু করি তখন ওই 'হয়ে ওঠার খেলাটা' মাথায় ছিল- তখন অনেকগুলো চরিত্র দিয়ে শুরু করেছিলাম। তারপর চিন্তাটা আরও গুছিয়ে নাটকটাকে আরও সমন্বিত রূপ দিলাম- তখন তিন ভাইবোনের খেলায় নেমে এলো এটি। ঘটনার মধ্যে আত্মজৈবনিক কিছু নেই - আমার বাবা-মা অসাধারণ ছিলেন, তাদের আমরা খুনটুন করতে চাইনি।