ছোট ছোট কবিতার আলোকবিন্দুর সমাহার ‘ক্ষুদিতা’। প্রথম পর্ব ‘সোনালি কুণ্ডল’ অনুসরণ করছে ফিবোনাচ্চি রাশিমালা এবং সোনালি অনুপাতকে। খ্রিস্টপূর্বকালের ভারতীয় কবি ও গণিতবিদ মহামুনি পিঙ্গলকে ধরা যায় এই রাশিমালার জনক। এর প্রথম বিশদ ব্যাখ্যাতা ইতালীয় গণিতবিদ লিওনার্দো ফিবোনাচ্চি (১২০২ সালে)। গণিতের এই জাদু দিয়ে জগৎ ও মহাজগতের রহস্য বুঝতে চেয়েছেন লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চিসহ অনেকেই। প্রাচীন ভারতীয় কবিতা ও সঙ্গীতে এই রাশিমালার ব্যবহার আছে। ‘ক্ষুদিতা’র দ্বিতীয় পর্ব ‘সন্ত হয়ে দেখি’ জাপানি হাইকু ও সেনরুর ঐতিহ্যে বাংলা কবিতার রুমালে নকশি আঁকার সুপ্রচেষ্টা। হাইকু-সেনরুরও আছে গাণিতিক বিন্যাস। প্রাচীন বিশ্ব-ঐতিহ্যের এসব রসদ নিয়ে এই বইয়ের ছোট ছোট কবিতার মাধ্যমে রানা নাগ বাংলা কবিতাকে ঠেলে দিয়েছেন গণিত, বিজ্ঞান ও অধিবিদ্যার এক অভিনব আলোকপথে।
রানা নাগ
জন্ম ২৮.০৮.১৯৭৯ নেত্রকোণা শহরে। আদি নিবাস কালিহাতি, টাঙ্গাইল। বেড়ে ওঠা মগড়া-সোমেশ^রীর তীরবর্তী জনপদে। উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ ময়মনসিংহ শহরে, আনন্দমোহন কলেজে। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষা পাঠ শেষে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতকোত্তর করেছেন। ঢাকায় থিতু, পেশায় বাংলাদেশের স্বনামধন্য একটি ঔষধ কোম্পানির কর্মকর্তা। বিজ্ঞান-ধর্মতত্ত্ব-পুরাণ বিষয়ে আগ্রহী, নিভৃতচারী পাঠক ও বিজ্ঞানমনস্ক-যুক্তিবাদী হিসেবে বেশ সুনাম আছে।