আত্মহুতির অগ্নিমন্ত্রে দেশের যৌবনকে জড়িয়ে দিয়ে আপোসহীন সংগ্রামের যে পতাকা ক্ষুদিরাম তুলে ধরেন, ভারতবাসীর দুর্ভাগ্য যে, স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোভাগে কালক্রমে যাঁরা এসে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁরা সেই উড্ডীন পতাকার মর্যাদা দেননি, তাই আপোসহীন সংগ্রামের পরিবর্তে আপোস ও সমঝোতার পথ ধরে এলো খণ্ডিত স্বাধীনতা। তার পরিণাম আমরা সকলেই মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছি। এই উপলব্ধি যত গভীর হচ্ছে, ক্ষুদিরাম-চর্চার প্রয়োজনীয়তার অনুভব ততই প্রবলতর হচ্ছে। স্বাধীনতা আন্দোলনে ক্ষুদিরামের পতাকা অবমাননার যে মাসুল আজ দিতে হচ্ছে, দেশের কিশোর ছাত্রছাত্রী, যুবক-যুবতীরা দলে দলে এগিয়ে এসে আপোসহীন সংগ্রামের সেই পতাকা যতদিন না তুলে ধরবে, অন্যায়-অবিচার শোষণ অত্যাচারের বিরুদ্ধে বর্তমান যুগচাহিদার পরিপূরক সঠিক আদর্শ ও নেতৃত্বে নির্ভীক মনে ও দুর্দম তেজে যতদিন না উঠে দাঁড়াবে, ততদিন এই অন্ধকার থেকে মুক্তি নেই। তাই আজ একান্ত প্রয়োজন ক্ষুদিরামের আদর্শ ও সংগ্রামী চেতনার সঠিক উপলব্ধি ও চর্চার।