ভূমিকা অনেক দিন আগেকার লেখা। কতোদিন হলো তার হিসেব করাই কঠিন। জনৈক পড়ুয়া বন্ধু হিসেব করে বললেন,নিদেনপক্ষে প্রায় পঞ্চাশ বছর হতে চললো। কীরকম হিসেব? যদিও আমি সত্যিই ভুলে গেছি তবুও আমার বন্ধুটি দেখালেন ‘রংমশাল’ বলে কিশোর পাঠ্য যে মাসিক পত্রিকা আমার দাদা কামাক্ষীপ্রসাদের সঙ্গে বের করতাম তারই ১৩৫২ সালে ধারাবাহিক ভাবে আমার এই লেখা বেরিয়েছিলো। লেখবার সময়টা তাই প্রায় বছর পঞ্চাশ হলেও বা হতে পারে। কেন লিখেছিলাম?কেনেনা তখন শিশুসাহিত্য বলে যা বাজার মাত করে রেখেছিলো তার অনকেটাই আমার বিচারে মোটেই সু মন গড়ে তুলতে সাহায্য করে না। অনকটাই তার অন্ধকার আর সে -অন্ধকারে রকমানি দৈত্যদানা ওত পেতে আছে। হয়তো কিশোর পাঠকদের কাছে ওসব লেখা রুচিকর। কিন্তু স্বাস্থ্যকর মোটেই নয়। দাদাকে বোঝলাম এর বিরুদ্ধে কলম ধরতে হবে। নইলে পত্রিকা প্রকাশের দায়িত্ব অসমাপ্ত থাকবে। দাদা আর তখন যিনি রংশলালের দপ্তর ছাড়তেন না প্রেমেন মিত্র দুজনেই সোৎসাহে রাজি। কিন্তু পঞ্চাশ বছর আগেকার লেখা কচি বই এর এতোদিন বাদে নতুন করে ছাপাবার উৎসাহ কেন? কেননা, যাঁরা প্রকাশ করতে এগিয়েছেন তাঁদের বিচারে সেই আদ্যিকালের দৈত্যদানারা আজ যেন নতুন করে হিংস্র হয়ে উঠছে । তাদের ঠেকাতে বইটা হয়তো সামান্য কিছু সাহায্য করবে। করলে আমি লেখার চেষ্টাকে সফল মনে করবো। দেবীপ্রসাদ চট্রোপাধ্যায়