ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র সাবের এক ভয়ংকর নিঃসঙ্গ জীবনের অধিকারী। কাহিনীর শুরুতেই আমরা দেখি তার সদ্য কারামুক্ত মা রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যাওয়ায় তার দাফনের তোরজোড় চলছে। প্রচলিত অর্থে অর্থনৈতিক জীবন যাপনকারিণী মা তাকে প্রাচুর্যের মধ্যে মানুষ করলেও , কারামুক্তির পর এবং মৃত্যুর অব্যবহিত পূর্বে সাবেরকে রেখে যায় চরম দারিদ্র ও নিঃসঙ্গতার মধ্যে। মায়ের সাথে সুদর্শন এক যুবক, এই যুগল ছবি হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলা হয় সে তার বাপ। যে বাপকে সাবের কখনো দেখেনি, ছবি দেখিয়ে তাকেই খোঁজ করার দায়িত্ব দিয়ে যায় মা তাকে। তাপর আলেকজান্দ্রিয়া থেকে শুরু করে কায়রো পর্যন্ত চলে খোঁজা। উপরি-দৃষ্টিতে এই খোঁজা বাপকে হলেও, আসলে সাবের খোঁজে তাঁর সামাজিক অবস্থান, তার অস্তিত্বকে। আর এই খোঁজা উপলক্ষেই সে জড়িয়ে পড়ে এক রমণীর মোহে। পরিণতিতে খুন। প্রায় রহস্যেপন্যাসের মতো ঠাঁসবুনটের অস্তিত্ববাদী এই উপন্যাস বাঙালি পাঠকের ভালো লাগবে বলে আমাদের ধারণা। বাংলায় অনূদিত নগীব মাহ্ফুজের এটি দ্বিতীয় উপন্যাস। বাংলায় তার প্রথম অনূদিত উপন্যাস ‘চোর ও সারমেয় সমাচার’ এর মতো এই উপন্যাসখানিও পাঠকানুকূল্য পাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।