শহীদ বলল, যুদ্ধ করে তো দেশ স্বাধীন করেছি, এখন দেখি পদোন্নতির যুদ্ধে পারি কি না।
আমি ক্ষীণশ্বাস ছেড়ে বললাম, সে যুদ্ধ ছিল জাতির স্বার্থে, আর এটা হলো বিশেষ গোষ্ঠীর ব্যক্তিস্বার্থ। ব্যক্তিস্বার্থ বড়ই কঠিন! শহীদ মলিন মুখে বলল, তোমাদের মতো মুখচোরা হিসাবনিকাশকারীদের দিয়ে কোনো যুদ্ধই হবে না। যা বোঝ, কর। আমি শেষ না দেখে ছাড়ছি না।
আমি তাকে বললাম, আমি একেবারে যে আশা ছেড়েছি তা না। তবে আমি ওই হাইব্রিড নেতাদের ভয় পাই। ওরা আমাকে তোমাকে দাবিয়ে না রাখলে ওদের যে কোনো পথ খোলা নাই। শহীদ উঠে চলে যায়। সে উত্তরবঙ্গের সোজা— শান্তদের একজন, তবে ‘মফিজ’ না। তাঁর বাড়ি পাবনায়। আমি ওর সরলতা বেশ পছন্দ করি। মালয়েশিয়ায় একমাস প্রশিক্ষণে আমরা দুজনে একই রুমে অবস্থান করেছি, একসাথে বেড়িয়েছি, শপিং করেছি। ওর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া কন্যাদ্বয় আর সহধর্মিণী কেনাকাটার জন্য যে তালিকা দিয়েছিল, শহীদ ঘোরাঘুরি করে তা একটাও কিনতে বাদ রাখেনি। আমি সেসময় তাঁকে সঙ্গ দিয়েছি। আমার মনে হয়েছে, ভাগ্যিস বাঘিনীর দুধ কেনার ফরমায়েশ তালিকায় ছিল না!