এ উপন্যাসে আমরা বিংশ শতাব্দির শেষার্ধের আধুনিক আফগানিস্তানের একটি চমৎকার চিত্র পাই। সেই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু ছবিও উঠে আসে এখানে, যেখানে উপন্যাসের নায়ক আমীর উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য যায়। তবে অনেক পাঠককে মুগ্ধ করবে এ উপন্যাসে খালেদ হোসাইন পরিবেশিত নানা চরিত্রের অসামান্য আলেখ্য। এদের মধ্যে আছে আমীর, তার অভিন্ন হৃদয় বন্ধু হাসান, যে তাদের গৃহভৃত্য আলীর পুত্র, আমীরের পিতা যিনি “বাবা” নামে পরিচিত, “বাবা”র প্রভুভক্ত সেবক-ভৃত্য-পরিচালক আলী, এবং উপন্যাসের শেষার্ধে আমীরের স্ত্রী সুরাইয়া সহ আরো কতিপয় ব্যক্তি। ভৃত্যপুত্র হলেও হাসান এবং প্রভুপুত্র আমীরের অটুট বন্ধুত্ব এই উপন্যাসের অন্যতম উপজীব্য। তার পাশাপাশি অনিবার্য ভাবে রাজনীতি, ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সামাজিক আচার প্রথার বিষয়ও এ উপন্যাসে আকর্ষনীয় এবং বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে পরিবেশিত হয়েছে। জনৈক সমালোচক বলেছেন, “এ উপন্যাস পড়তে শুরু করলে হাত থেকে নামানো যায় না।” আমরা এর বাংলা নামকরণ করেছি “ঘুড়ি”।