রুমানিয়ার নোবলবিজয়ী লেখক হার্তা মুলারের কাঁচা আখরোটের দেশে-এর পটভূমি স্বৈরশাসক চসেঙ্কুর নিষ্ঠুর শাসনকাল। কয়েকজন শিক্ষার্থীর জীনের নানা অভিজ্ঞতা নিয়ে এই উপন্যাসের কাহিনী গড়ে উঠেছে। এরা দারিদ্র্যপীড়িত গ্রামাঞ্চল থেকে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের আশা নৈিয শহরে আসে। তাদের কথাই এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য। একটি নিষ্ঠুর স্বৈরশাসিত দেশে কীভাবে সকল মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা চূর্নবিচূর্ণ হয়ে যায় হার্তা মুলার আবেগঘন ও শৈল্পিক দক্ষতার সঙ্গে এই উপন্যাসে তা চিত্রিত করেছেন। অনেক জায়গায় তার রচনাশৈলী পরাবাস্তবতার ধারা এবং অ্যাবসার্ড রীতি অনুসরণ করেছে। উপন্যাসের ভাষা, রচনাশৈলী, প্রতীকী ব্যঞ্জনা এবং গূঢ় ইঙ্গিতময়তা পাঠককে স্বপ্নাবিষ্ট করবে। মুলারের কাঁচা আখরোটের দেশে একটি ব্যতিক্রমী উপন্যাস। এ উপন্যাসে আধুনিক উপন্যাসের সীমানাকে নতুন পথে প্রসারিত করেছে। উপন্যাসটির মাইকেল হলম্যান কৃত ইংরেজি অনুবাদ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯৮ সালে। জনৈক সমালোচকের ভাষায়, এই গ্রন্থ একটি অলৌকিক সৃষ্টি, একটি সাহসী মানবিক দলিল। কবীর চৌধুরীর স্বচ্ছ অনুবাদে হার্তা মুলারের উপন্যাসটি শিল্পসৌকর্য চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। এই অনুবাদের বদৌলতে বিশ্বসাহিত্যের আরেকটি কালোত্তীর্ণ উপন্যাসের সঙ্গে পরিচিতি হবেন পাঠকরা।
হার্তা মুলার
রুমানিয়ার জন্ম ১৯৫৩ সালে। জাতিতে জার্মান। মূলত তিনি কবি, ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক। প্রথম বই প্রকাশিত হয় ১৯৮২ সালে। সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০০৯ সালে নোবেল প্রাইজ পার।/ অনুবাদক কবীর চৌধুরী্। স্বনামধন্য অনুবাদক, সমালোচক ও প্রাবন্ধিক। তাঁর অনুবাদ দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। সাহিত্যে ও শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কার পেয়েছেন।