“কেষ্ট কবি” বইটি সত্যিই এক অভিনব উদ্ভাবন। বইটিতে কেষ্টরূপী একজন মানুষের জীবনে নানাদিক বর্ণিত হয়েছে এক অপরূপ শৈল্পিক ভঙ্গিতে। ফুটে উঠেছে আমাদের সমাজের নানান সঙ্গতি-অসঙ্গতি। মনে হয় যেন এটি বাস্তবতারই এক অপরূপ প্রতিচ্ছবি। এতে রয়েছে অনেক কিছু জানার বােঝার। এতে প্রকাশ পেয়েছে বাংলার অনেক অজানা, অচেনা, স্থান, কাল, পাত্রের বর্ণিল পরিচয়। এক কথায় যাকে বলে অপূর্ব।
আসলে এ গল্পটি কঠিন বাস্তবতারই অসাধারন এক চিত্র। যা অশ্রুশিক্ত করবে পাঠকের চোখ।
এ বইটিতে একটি অসাধারণ চমকপ্রদ দিক রয়েছে, যা সত্যিই পাঠককে বিস্মিত করবে, এজন্য যে—শুধু বাংলা সাহিত্যেই নয়, পৃথিবীর কোনো সাহিত্যেই এমন গল্প উপন্যাস রচিত হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।
চমকপ্রদ বলেছি এ কারণে যে, এ গল্পে যতগুলাে শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে তার প্রতিটি শব্দের আদ্যক্ষর একটিমাত্র বর্ণ ‘ক’ দিয়ে শুরু হয়েছে।
সকল শব্দের আদ্যাক্ষর এক বর্ণ দিয়ে এমন বিশাল গল্পলিখা এক অসম্ভব সাধনার বিষয়। এটি সত্যিই বিস্ময়কর। বাংলা সাহিত্যে এটি একটি নূতন ধারা সৃষ্টি করেছে। এটি একটি আবিষ্কার, একটি নূতন ইতিহাস।
পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে এর মহিমা ছড়িয়ে পড়ুক এ কামনা করি।