কুমিলা মফস্বল শহরের সাধারণ এক মেয়েকে নিয়ে এই গল্প। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর বিয়ে হয়ে যায় নাদিয়ার। শশুর বাড়িতে গিয়ে সে মুখোমুখি হয় দারুণ প্রতিকূল এক পরিস্থিতির। কিন্তু এসবে দমে যায় না নাদিয়া। নিজের মতো করেই পরিকল্পনা সাজায়। তার স্বাবলম্বি হওয়ার গল্প হলো এ উপন্যাস। সফলতা পথ সহজ নয়। নাদিয়াকে নানা বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। ঘরে ও বাইরের সেসব বাধা কীভাবে কাটিয়ে ওঠে নাদিয়া? নাদিয়ার মতো মেয়েরা সুযোগ পেলে অনেক কিছু করতে পারে। উপন্যাসে তাই দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আবহমান বাঙালি নারীর বৈশ্যিষ্টে এ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র নাদিয়া উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী ঘটতে যাচ্ছে নাদিয়ার জীবনে? সাধারণ একজন অল্প বয়সী নারী ফ্রিল্যান্সিং পেশা বেছে নেওয়ার পর কীভাবে অসাধারণ হয়ে ওঠে, এটা তারই গল্প। জীবনযুদ্ধে হার মানতে না চাওয়া এক প্রবল নারীর নাম নাদিয়া। নাদিয়া এক অনুপ্রেরণার নাম। উপন্যাসটি ইতিবাচক মনোভাবের চমৎকার উদাহরণ হতে পারে।
রাহিতুল ইসলাম
রাহিতুল ইসলাম একজন বাংলাদেশি তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিক, লেখক ও নাট্যকার। বর্তমানে দেশের একটি শীর্ষ দৈনিকে সাংবাদিকতা করছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চাও করেন। তবে তাঁর আগ্রহের বিষয় মূলত তথ্যপ্রযুক্তি। সংবাদপত্রে লিখে আর কথাসাহিত্য রচনার মধ্য দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন পাঠকদের এই জগতের জানা-অজানা নানা বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত করাতে। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১২। উল্লেখযোগ্য উপন্যাস: ‘কল সেন্টারের অপরাজিতা’, ‘চরের মাস্টার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার’, ‘হ্যালো ডাক্তার আপা’, ‘ভালোবাসার হাট-বাজার’ এবং ‘কেমন আছে ফ্রিল্যান্সার নাদিয়া’। ‘আউটসোর্সিং ও ভালোবাসার গল্প’ বইটি ফিলিপাইন থেকে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘আউটসোর্সিং ও ভালোবাসার গল্প’ বইয়ের জন্য জাতীয় ফ্রিল্যান্সিং অ্যাওয়ার্ড (২০১৯) এবং ‘কল সেন্টারের অপরাজিতা’র জন্য এসবিএসপি সাহিত্য পুরস্কার (২০২১) পেয়েছেন।