ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ দৈনন্দিনের জীবন থেমে থাকার নয়। তা এগিয়ে চলে নানা বিচিত্র সংঘাত, প্রবঞ্চনার অলিগলি বেয়ে। আফরোজীর ভাতের থালা ভিজে চোখের রক্ত-জলে। তোবারক-ইসমত সারা জীবন শহরে একটি ঠিকানার চেষ্টা করে উদ্বাস্ত। মেয়ের বিয়ের আসর থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় নিরীহ বাবা ইউসুফ খলীফাকে।
শঙ্কা-আশঙ্কায় মানুষের দিন কাটে। মানুষ আশ্রয় খুঁজে আনন্দ ভালোবাসাও। কিন্তু তা কি আছে কোথাও?
শত অর্ধ-শতাব্দী ধরে কথা সাহিত্যিক রেজাউর রহমান নিজের অন্তর হাতড়িয়ে তাই খুঁজে চলেছেন। লিখে চলেছেন সাধারণ মানুষের কথা, অসাধারণ মমতার আঙ্গিকে। এই গল্পগ্রন্থ টেনে নিয়ে যাবে ঘটনা প্রবাহের নানামুখী টানাপোড়েনে যা পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করবে বলে আমার বিশ্বাস।
সূচিপত্র * কার্নিস ছুঁয়ে পড়া * দেশবিদেশ * ঠিকানা * কোনো এক গাঁয়ের বিয়ে * অপেক্ষা * তালবেতাল
রেজাউর রহমান
রেজাউর রহমান, জন্ম ১৯৪৪ সালে, ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জীববিজ্ঞানে এমএসসি করেছেন ১৯৬৫ সালে। রাজশাহী সরকারি ডিগ্রি কলেজে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে পেশাজীবনের শুরু। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে বিজ্ঞান গবেষক হিসেবে ১৯৬৬-২০০২ পর্যন্ত নিয়োজিত ছিলেন। চেক বিজ্ঞান একাডেমি, প্রাগ থেকে ১৯৭৯ সালে কীটতত্ত্বে পিএইচ ডি লাভ করেন। খণ্ডকালীন অধ্যাপনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বদ্যিালয়ে (১৯৯১-২০০৫)। একশরও বেশি মৌলিক ও জনপ্রিয় বিজ্ঞান প্রবন্ধ লিখেছেন। বংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত তাঁর কীটতত্ত্ব বিষয়ক স্নাতকোত্তর মানের পাঠ্যপুস্তকগুলো যথেষ্ট সমাদৃত হয়েছে। পাশাপাশি তিনি লিখেছেন জনপ্রিয় বিজ্ঞান গ্রন্থও। প্রথাগত নিয়মে অবসরপ্রাপ্ত হলেও শিক্ষকতা-গবেষণা ও বিজ্ঞান আন্দোলন এবং সম্প্রচার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। তিনি নিয়মিতভাবে সাহিত্যচর্চায়ও নিবেদিত। সাহিত্যচর্চা করেন স্কুলজীবন থেকে। প্রথম লেখা ছাপা হয় ১৯৬৩ সালে। প্রকাশিত গল্পের সংখ্যা শতাধিক। কয়েকটি উপন্যাসও লিখেছেন।