আধুনিক ইতিহাসের অন্যতম প্রধান চরিত্র ড. কার্ল হাইনরিশ মার্কস। কার্ল মার্কস নামেই তাঁর জগৎজোড়া পরিচিতি। তাঁর দুটো তত্ত্ব সারা পৃথিবী কাঁপিয়ে তুলেছিল এবং অনেকটা বদলে দিয়েছিল মানুষের মনোজগৎ, সামাজিক বিন্যাস এবং ইতিহাসের চাকা। মার্কস প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনের প্রাণপুরুষ হিসেবে। রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে তাঁর মানবিক দিকগুলোর অনেককিছুই ঢাকা পড়ে গেছে। মার্কস ছিলেন একজন কবি। যে বয়সে তিনি মানুষ হয়ে ওঠার পরিক্রমা শুরু করেন, সে সময়েই তিনি আরও একটি কাজ শুরু করেছিলেন, যার কথা আমরা অনেকেই জানি না। কাজটি ছিল ‘শব্দ ও ছন্দের বেসাতি’, অর্থাৎ কাব্যচর্চা। মার্কস-এর কবিতাপ্রীতি অবশ্য কোনো লুকোনো ব্যাপার ছিল না। ইস্কাইলস, শেক্সপিয়র আর গ্যয়টের কবিতা ছিল তাঁর খুব প্রিয়। চিরায়ত সাহিত্যকর্ম ঘেঁটে ঘেঁটে উদ্ধৃতি, শব্দ চয়ন, ইত্যাদি সব ব্যাপারেই তাঁর কবি মানসিকতার পরিচয় মেলে। ১৮৩৬-৩৭ সালে মার্কস বেশকিছু কবিতা রচনা করেন। এর মধ্যে আছে সনেট, শোকগাঁথা, সরস কবিতা এবং কাব্যনাটক। মার্কসের কবিতা অনুবাদ করেছেন রাজনীতি-বিষয়ক গ্রন্থরচনায় এসময়ের জননন্দিত গ্রন্থপ্রণেতা মহিউদ্দিন আহমদ। ভাবার্থ এবং ছন্দ উভয় দিক লক্ষ্য রেখে করা মার্কসের এই অনুবাদ কবিতা কার্লমার্কসকে বাঙলার পাঠকের কাছে নতুনরূপে হাজির করবে।
মহিউদ্দিন আহমদ
মহিউদ্দিন আহমদ জন্ম ১৯৫২, ঢাকায়। পড়াশােনা গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে। ১৯৭০ সালের ডাকসু নির্বাচনে মুহসীন হল ছাত্র সংসদের সহসাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বিএলএফের সদস্য হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। দৈনিক গণকণ্ঠএ কাজ করেছেন প্রতিবেদক ও সহকারী সম্পাদক হিসেবে। দক্ষিণ কোরিয়ার সুংকোংহে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ইন এনজিও স্টাডিজ কোর্সের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও অধ্যাপক। তার লেখা ও সম্পাদনায় দেশ ও বিদেশ থেকে বেরিয়েছে বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা।