এটি একটি উপন্যাস বলা যায়। এই বইয়ে আছে ‘সুবোধ’ নামের এমন একজন ছেলের গল্প যাকে তার বাবা মহামানব বানাতে চেয়েছিলেন। মানুষের ছেলেপেলে ডাক্তার হয় , ইঞ্জিনিয়ার হয়, ব্যবসায়ী হয়, চোর হয় , ডাকাত হয়; সুবোধের বাবা চেয়েছিলেন তার ছেলে মহামানব হবে। তিনি তার ছেলেকে মহামানব বানাতে, ছেলের ওপর বিভিন্ন গবেষণা চালিয়েছেন। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর ছেলে সত্যিকার মহাপুরুষের সন্ধান লাভ করে। তার কাছে প্রেরিত দ্বীন এর সন্ধান লাভ করে। এবং তখন থেকে সুবোধ হয়ে যায় আব্দুল্লাহ। আর ঠিক সেই মূহুর্ত থেকে সুবোধের গল্প শুরু হয়।
সুবোধের প্রথম পর্ব শেষে এবার এলো দ্বিতীয় পর্ব ‘কারাগারে সুবোধ’। এই পর্বে ভিন্ন এক সুবোধকে আবিষ্কার করবেন পাঠক। চার দেয়ালের মাঝে কেমন কাটছে তার জীবন, কীভাবে সে বন্দী থেকেও মুক্ত জানতে হলে পড়ুন।
আলী আব্দুল্লাহ
আলী আবদুল্লাহ জন্ম ঢাকার সেগুনবাগিচায়। ১৯৮৩ সনের, ১৯ শে জুন। সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নিলেও ইসলামি হুকুম-আহকাম মেনে চলার ব্যাপারে ছিলেন উদাসীন। ২০০৪-০৫ সালের দিকে মহান আল্লাহ তার ওপর করুনা করেন এবং তিনি ইসলামের দিকে ফিরে আসেন বা আসার চেষ্টা শুরু করেন।
তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি’র ব্যবসায় অনুষদ থেকে স্নাতক, এবং চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। প্যারােডি লেখার মাধ্যমে লেখক হিসেবে তার যাত্রা শুরু । জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের বিখ্যাত উপন্যাস এবং হিমু’-এর প্যারােডি লিখেছেন ‘সুবােধ’ নামে। ইতােমধ্যেই সেটি সমর্পণ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশে ‘প্যারােডি’ নিয়ে সম্ভবত তিনিই প্রথম কাজ করেছেন। এখন তার স্বপ্ন একটাই অতীতের ন্যায় ইসলাম আবারও স্বমহিমায় পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হবে।। আল্লাহ তার সহায়ক হােন। আমীন।