ফ্ল্যাপে লিখা কিছু কথা ফ্রানজ কাফকা। আধুনিক জার্মান গদ্যের এক নবদিগন্ত। তাঁর বিশাল ডায়েরিও অসাধারণ রচনাবলীর মতো সমান ভাবে বিস্ময়ের সঙ্গে অস্বাদ্য। ১৩ টি কোয়োর্টো সাইজের নোট বইতে তাঁর ডায়েরির সুবিশাল সমাহার । এতে কাফকার এক অনবদ্য লিখনশৈলীর অপূর্ব সন্নিবেশ ঘটেছে। লেখকের সাহিত্যিক ধারণা কোন গল্পের শুরু কিংবা দৃশ্যমান ঘটনাবলির বা বাহমান স্মৃতি ও চিন্তার সুস্পষ্ট প্রতিফলন এই ডায়েরিগুলো।মূলত চারপাশের অবন্ধুসুলভ পৃথিবীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে সাহিত্যক প্রচেষ্টার প্রতি এবং ঘৃণ্য,কষ্ট সাধ্য ও ক্লান্তিকর চাকুরি জীবনের প্রতি তাঁর সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিই তাকে ডায়েরি রচনায় বিশেষ ভাবে প্রলুব্ধ করেছে। উক্ত প্রণোদনাজাত তাঁর এ মনোভাব ডায়েরির পাতায় পাতায় বিরতিহীন কতকথায় সুবিত্রিত। এছাড়াও প্রাত্যহিক চলতি ঘটনাপুঞ্জ এমন কি স্বপ্নও তিনি ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করেছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে স্বপ্নবর্ণনা তুলনামূলকভাবে বাস্তব বর্ণনাকেও অতিক্রম করেছে। কখনোও আবার তা তার কোন উপন্যাস বা গল্পের পটভূমি হিসেবেও কাজ করেছে। ডায়েরিতে বর্ণিত কোন ঘটনার ,চিন্তার বা দৃশ্যের বর্ণনা, সে বড়ো বা ছোট হোক তা খুবই ব্যতিক্রমি এবং বিশাল ডায়েরির সাবলীল অনুবাদ সহজ নয়,বরং শ্রমসাধ্য এবং ঝুঁকিপূর্ণ। ডায়েরিতে প্রতিবিম্বিত তাঁর জটিল মনোবৃত্তি এবং অসাধারণ রচনাশৈলির যথাযথ অনুবাদ প্রকৃতই দুরূহ। তবুও অন্তর্গত আন্তরিক তাগিদে এ দুশ্চেষ্টা গৃহীত। ফ্রানজ কাফকার ১৯১০ থেকে ১৯২৩ সাল পর্যন্ত সুবিশাল ডায়েরিতে বিশেষ বাছাইকৃত কিছু অংশই কেবল অনুবাদিত।