মানুষের জীবন একটা সমান্তরাল পথ। কষ্ট এবং আনন্দ সেই পথের দুই রেল। জীবনে কষ্ট তার বিভিন্ন রূপ দেখায়। কখনো বেদনায় কখনো হতাশায় কিংবা একাকিত্বে।
সুখও তাই। একাকী জ্যোৎস্নাবিলাসে যেমন নির্ঝর আনন্দ, তেমনি অশ্রুধারায় অথবা প্রেয়সীর নূপুর নিক্কণেও তার সুর বাজে। দুঃখকে চকোলেটের মতো চেটেপুটে খেয়ে ফেলায় যেমন আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়, তেমনি কারও ভীষণ সুখময় মুহূর্তও অন্যের চোখে বেদনার অশ্রু ঝরায়।
অধিক সুখে কষ্টের কান্না যেমন মুক্তো হয়ে ঝরে পড়ে, আনন্দের নিক্কণও প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠতে পারে। ‘কান্নার নূপুরধ্বনি’তে আনন্দ-বেদনা সুখ-দুঃখের এই মিশ্র সুরই বেজে উঠেছে।