কালিম্পং-এর এক প্রাচীন গুম্ফায় পাওয়া যায় একটি বাংলা উপন্যাস—কামসূত্র। সেই উপন্যাস এসে পৌঁছায় কবীর খান-এর কাছে। কবীর বর্তমানে মগ্ন বাৎস্যায়নের কামসূত্র থেকে নতুন অর্থ নিষ্কাশনের কাজে। উপন্যাস পাঠ করে বিস্মিত হন তিনি। তাঁর বর্তমান কাজের সঙ্গে উপন্যাসের অদ্ভুত মিল। অতীশ দীপংকর কি তিব্বতে গিয়ে পুনরুদ্ধার করেছিলেন ভারতবর্ষ থেকে হারিয়ে-যাওয়া প্রাচীন গ্রন্থ—বাৎস্যায়নের প্রকৃত কামসূত্র? নতুন শব্দার্থের খোঁজে কালিম্পং-এর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন কবীর। অজান্তে জড়িয়ে যান এক তিব্বতি লামার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে। লামা কি বিপ্লবী? স্বাধীন তিব্বতের স্বপ্নে তিনি কি বানাতে চান গুপ্তসেনা? একই সময়ে, কলকাতার আন্তর্জাতিক থিয়োলজিক্যাল মিউজিয়ামের তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্ম গ্যালারি থেকে রহস্যজনকভাবে চুরি যায় এক মহার্ঘ মূর্তি। কালিম্পং-এ বেড়াতে গিয়ে অপহৃত হয় এক বাঙালি বৌদ্ধ পরিবারের শিশু। মূর্তিচুরি, শিশু অপহরণ ও কবীর খানের অন্তর্ধান—সবই কি এক সুতোয় গাঁথা? কবীর খানের পিছু পিছু রহস্যের জালে জড়িয়ে পড়ে ডিকে। রজত রায়। নিবেদিতাও। বিন্দুবিসর্গ-এর ধারাবাহিকতায় এই নতুন আখ্যান ঢুকে পড়ে, শব্দ ও শব্দার্থের গোলকধাঁধায়। তারপর ক্রমশ এক আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অগ্নিবলাকায়। লাসা, শিংজিয়াংসহ ট্রান্স হিমালয়ের সাব-জিরো তাপমাত্রার বরফ কি গলতে শুরু করে সেই উত্তাপে? ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাস ও পুরাণ তোলপাড়-করা আখ্যান, বিন্দুবিসর্গ-এর পর, আরও এক মহা-উপন্যাস, কামসূত্র।