পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার দাবিতে ভাষা আন্দোলন চূড়ান্ত পরিণতির দিকে এগিয়ে যায় বাহান্নর ২১শে ফেব্রুয়ারি। চার অথবা তার চেয়ে বেশি লোকের সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তৎকালীন সরকার ১৪৪ ধারা জারি করে। ছাত্রছাত্রীরা অবশ্য সেই আইনি বাধা ভাঙতে বদ্ধপরিকর। একুশে ফেব্রুয়ারির সকাল থেকেই ছাত্রছাত্রীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সমবেত হতে থাকে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে বিভক্ত হয়ে ওরা রাজপথে নামলে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল ছুঁড়ে ওদের বাধা দিতে চেষ্টা চালায়। ঘটনাস্থলে তখন ছয়জনের মৃত্যু ঘটে। এক কিশোরের দৃষ্টিতে বর্ণিত কামালের একুশে সেদিনের ঘটনারই বিবরণ। যদিও কামাল এবং ওর বন্ধুরা সেদিন গোলাগুলির দৃশ্য অবলোকন করেনি, তবুও ওরা গুলির আওয়াজ শুনতে পেয়েছিল। সেই দিনের তাৎপর্য কামালের কাছে চিরভাস্বরÑঅধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এই শেষ বাক্যটি গল্পে জুড়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের তোলা সেদিনের কিছু ছবি এ বই’র অলংকরণে ব্যবহৃত হয়েছে।