কালীগুণীন এবং দানবের মণিঃ এক পৌরাণিক দিব্যবস্তু, যাকে যুগ যুগ ধরে মানবসভ্যতা অলীক বলে ভেবে এসেছে। অথচ যার সন্ধানে আদিকাল থেকেই মুনি-ঋষি, দেব, দানব ও মানুষেরা ঘুরে বেরিয়েছে হাজার হাজার বছর ধরে। কালীগুণীন কি পারবে সেই পৌরাণিক রহস্য উদ্ধার করতে?
কালীগুণীন এবং করালদংষ্ট্রা রহস্যঃ পুরাণে যে মহা মারণাস্ত্রের নাম শোনা মাত্র দেবতা, দানব, যক্ষ, রক্ষ, পিশাচ, দৈত্য সকলে কাঁপতে কাঁপতে হাত জোড় করে বসে পড়ে, সেই মহামারী অস্ত্রের একটা অংশ হঠাৎ মানবসভ্যতায় উন্মুক্ত হয়ে পড়ল এক পুরাতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে আরম্ভ হল নরমেধের পালা। তারপর?
কালীগুণীন এবং ভস্মাসুরের শাপঃ এক প্রলয়ংকরী মহাবিদ্যা ‘বজ্রসম্ভব’ -এর সন্ধান পেয়ে কাপালিক চন্ড হয়ে উঠল আপরাজেয়। তাঁর গুরুর আশীর্বাদ, অপরের হাতে কখনও মরবে না সে। কালীগুণীন কি পারবে সেই অদম্য শক্তির আধার চন্ডকে পরাস্ত করতে।
কালীগুণীন এবং পঞ্চবান রহস্যঃ এক ধূর্ত তান্ত্রিকের অভিনব মারণ কৌশল এবং অনন্তর পরিবারকে রক্ষা করতে কালীগুণীনের অমোগ কূটবুদ্ধির লড়াই কি শেষ অবধি পারবে পঞ্চবাণের আশ্চর্য রহস্য ভেদ করতে? যখন অপশক্তির হাতে জীবনীশক্তি পরাস্ত হতে আরম্ভ করে… অশরীরী অপদেবতার হিংস্র থাবা গ্রাস করতে থাকে গ্রাম-তালুক-শহর… অপরাগ মানুষ অসহায়ভাবে অপেক্ষা করতে থাকে মৃত্যুর… ঠিক তখনই আবির্ভুত হন… পিশাচের যম… অপশক্তির সাক্ষাৎ শমন… এক ব্রাহ্মণ… নাম কালীপদ মুখুজ্জে… নিবাস রায়দীঘড়া।
সৌমিক দে
সৌমিক দের জন্ম ১৯৮৪ সালের ১২ই জুলাই তারিখে কলকাতার সল্টলেকে। তাঁর বিভিন্ন ভৌতিক লেখা, অজস্র ছোটগল্প ও অন্যান্য রচনার মধ্যে কালীগুণীন সিরিজটি ভারত ও বাংলাদেশের সমান জনপ্রিয়তা এবং আশীর্বাদ লাভ করে। সৌমিক তাঁর লেখালেখি শুরু করেন ভৌতিক সাহিত্যের অন্যতম গ্রুপ ভূতভুতুমে। এখানেই প্রথম আত্মপ্রকাশ করে কালীগুণীন ও কানাওলার ফাঁদ গল্পটি, এবং ভূতভুতুমের একনিষ্ঠ উদ্যোগে বিভা প্রকাশনী থেকে মুক্তি পায় এই সিরিজের প্রথম বই "কালীগুণীন ও ছয় রহস্য"। লেখক বর্তমানে রাজ্যের নগরোন্নয়ন দপ্তরে কর্মরত।