কানাওলার ফাঁদঃ নেকড়েমারি গ্রামের আকাশে-বাতাসে কীসের আতঙ্ক? কখনও ধানক্ষেতে, কখনও ডোবার জলে অদৃশ্য কারুর চলে বেড়ানোড় আওয়াজ! কে সে? নেত্রপাণীর বিভীষিকাঃ নেত্রপাণি তালুক থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে মেয়েমানুষ… পাঁচমারীর বনে আস্তানা গেড়েছে দু’জন কাপালিক … হচ্ছে ‘অগ্নিমন্থন সাধনা’… কী তাদের উদ্দেশ্য? চন্দ্রপিশাচ রহস্যঃ হিজলপোঁতা গ্রামে আবির্ভূত হলেন সৌম্যদর্শন, শ্বেতবর্ণ কেশধারী এক বৃদ্ধ সাধু… সঙ্গে এক রহস্যময় তাম্রলিপি… কী রহস্য লুকিয়ে আছে তাতে? হোগলামারির নরঘাতকঃ কাঁচা মাংস চিবিয়ে খায় মেয়েটি… তাঁর প্রেমেই পড়ল হোগলামারির জমিদারবাড়ির ছেলে শিবা… শিবা কি জানতে পারবে সুলতার আসল পরিচয়? আপাইঃ সাদা ধোঁয়াটের মতো আকৃতি… লোমশ হাত-পা… সারা দেহের হাড়-মাংস সব ঝলসানো… চোখ দুটো কয়লার ভাঁটির মতো জ্বলছে… কে এই সাক্ষাৎ বিভীষিকা? কী চায় সে?
যখন অপশক্তির হাতে জীবনীশক্তি পরাস্ত হতে আরম্ভ করে… অশরীরী অপদেবতার হিংস্র থাবা গ্রাস করতে থাকে একের পর এক গ্রাম, তালুক, শহর… অপারগ মানুষ অসহায়ভাবে অপেক্ষা করতে থাকে মৃত্যুর… ঠিক তখনই… কোনও না কোনও উপায়ে সেখানে আবির্ভুত হন… পিশাচের যম… অপশক্তির সাক্ষাৎ শমন… এক ব্রাহ্মণ… নাম কালীপদ মুখুজ্জে… নিবাস রায়দীঘড়া।
সৌমিক দে
সৌমিক দের জন্ম ১৯৮৪ সালের ১২ই জুলাই তারিখে কলকাতার সল্টলেকে। তাঁর বিভিন্ন ভৌতিক লেখা, অজস্র ছোটগল্প ও অন্যান্য রচনার মধ্যে কালীগুণীন সিরিজটি ভারত ও বাংলাদেশের সমান জনপ্রিয়তা এবং আশীর্বাদ লাভ করে। সৌমিক তাঁর লেখালেখি শুরু করেন ভৌতিক সাহিত্যের অন্যতম গ্রুপ ভূতভুতুমে। এখানেই প্রথম আত্মপ্রকাশ করে কালীগুণীন ও কানাওলার ফাঁদ গল্পটি, এবং ভূতভুতুমের একনিষ্ঠ উদ্যোগে বিভা প্রকাশনী থেকে মুক্তি পায় এই সিরিজের প্রথম বই "কালীগুণীন ও ছয় রহস্য"। লেখক বর্তমানে রাজ্যের নগরোন্নয়ন দপ্তরে কর্মরত।