ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ এই গল্পগ্রন্থে মূর্ত্য হয়ে উঠেছে বঞ্চিত মানুষের জীবন। যদিও মূলত নারী জীবনের কথাই। একদিকে রয়েছে সমাজের নিচুতলার মানুষেরা-নারী পুরুষ উভয়ই। তাদের কঠিন জীবন সংগ্রাম, ভাগ্য বিড়ম্বিত জীবন, বোহেমিয়ান প্রবৃত্তি , স্বপ্ন-সাধ, ভালোবাসা-সবই ফুটে উঠেছে । কোনো কোনো গল্পে নারীর বহু বিবাহের পেছনে অসহায়তা ও মনোবেদনা
শামসুর রাহমান
নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানা থেকে আরেকটু ভেতরে মেঘনাপাড়ের গ্রাম পাড়াতলী। কবি শামসুর রাহমানের পৈতৃক নিবাস। তবে জন্মেছিলেন ঢাকা শহরের ৪৬ নম্বর মাহুতটুলির বাড়িতে। তারিখ ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর। দশ ভাইবােনের মধ্যে জেষ্ঠ্য তিনি।
১৯৪৮ সালে যখন তার বয়স মাত্র ১৯ বছর তখন মননের গহীন তল্লাটে কবিতার যে আবাদভূমি গড়ে উঠেছিল, তা কেবল উর্বরই হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে নলিনীকিশাের গুহের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় প্রথম কবিতা। তারপর দে ছুট আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পেয়েছেন আদমজী পুরস্কার (১৯৬৩), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৯), একুশে পদক (১৯৭৭), সাংবাদিকতার জন্যে পেয়েছেন জাপানের মিৎসুবিশি পদক (১৯৯২), ভারতের আনন্দ পুরস্কার (১৯৯৪) ছাড়াও বহু পুরস্কার। তিনি ভারতের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডি লিট উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। ‘মর্নিং নিউজ’-এ সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে ১৯৫৭ সালে যে চাকরি জীবন শুরু করেছিলেন, একই পেশায় থেকে ১৯৮৭ সালে দৈনিক বাংলার সম্পাদক পদ থেকে তিনি চাকরিতে ইস্তফা দেন। জীবনে উত্থান-পতন, দারিদ্র্য, হতাশার ঘুর্ণিপাকে দুলেছেন, তবু খেই হারাননি জীবন, সাহিত্য ও কবিতার পাঠ থেকে।
মূলত কবি হলেও সাহিত্যে তাঁর কাজ বহুমাত্রিক। অনুবাদ সাহিত্য থেকে গদ্যের বিভিন্ন প্রশাখায় বিচরণ করেছেন তিনি। ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট ৭৬ বছর বয়সে তিনি। মৃত্যুবরণ করেন।