বড় আর বয়স্ক মানুষেরা কখনো কখনো ভয়ানক নৃশংসও হয়। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তারাই জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে। ভয়ঙ্কর পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করে। মারা যায় লাখো মানুষ। সেই বোমার তেজস্ক্রিয়তা কয়েক প্রজন্মের মানুষের জন্য বয়ে আনে রোগ-শোক ও দুর্দশা। সাদাকোর মতো হাজারো শিশু সেদিন আক্রান্ত হয়েছিল। প্রান্ত শিশু সাদাকো দৌড়বিদ হতে চেয়েছিল। দৌড়তে গিয়েই একদিন অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন- ‘পরমাণু বোমা রোগে আক্রান্ত সাদাকো। শুরু হয় তার বেঁচে থাকার লড়াই। কাগজ দিয়ে একের পর এক সারস বানাতে থাকে সে। সেই সারসগুলোই বাঁচিয়ে দিয়েছে সাদাকোকে। সারা বিশ্বে তাকে পরিচিত করেছে শান্তির দূত হিসেবে। এই গল্প সাদাকোর বেঁচে থাকার সংগ্রামের শান্তিপূর্ণ ও বাসযোগ্য এক পৃথিবীর আকাঙ্ক্ষার।