পৃথিবীটা কোথায় ঘুরছিল? সাত মসজিদ রোডে। প্লেনের কো-পাইলট? বনলতা সেন। বৃষ্টিস্নাত একটা দিনে কী হয়? একটা গাড়ি সব পথ দিয়ে যায়। আর…. কে দাড়ি? কে কমা? কে ড্যাশ? কে হাইফেন? এমন আর কতো কী নিয়ে যে লিখেছেন রাহাত রাস্তি। পড়তে পড়তে মন ভালো হয়ে যায়। পড়তে পড়তে মন খারাপ হয়ে যায়। রাহাত রাস্তি কবি। একেবারেই এই সময়ের কবি। তার লেখায় যেমন নস্টালজিয়া আছে, তেমন আছে ভার্চুয়াল বান্তবতাও, আছে লক্ষ্যভেদী কবিত্বের সঙ্গেই। ‘কাগজের অ্যারোপ্লেন’-এ তরুণ এই কবির নানা রকম কিছু লেখা উড়ল। তারা কেউ কবিতা, কেউ ছড়া, কেউ পদ্য। জাত-পাতের বিচার অদরকারী অবশ্য। ভালো লেখা হলো ভালো লেখা। রাহাত রাস্তির লেখা ভালো লেখা। সেটা শক্ররা না বললেও ভালো।শক্রর মুখে ছাই। রাহাত রাস্তির ‘কাগজের অ্যরোপ্লেন’ ঝলমলে উজ্জ্বল একটা দিনের দিকে যাক। যাবে।
রাহাত রাস্তি
আমার জন্ম ১২ ফেব্রুয়ারি। পরিষ্কার আকাশ রবিবার, বিকাল ৩টা । বাংলাদেশের ঋতু-পরিক্রমায় সময়টা তখন বসন্ত। আমি যখন জন্ম নিয়েই গগনবিদারী চিৎকারে জানান দিচ্ছি আমার অস্তিত্ব, ঠিক সেই মুহূর্তে পলাশ শিমুলের ডালে ওই ভয়ঙ্কর সুন্দর ফুল দেখে কার হৃদয় হাহাকারে ভরে উঠেছিল? সে কি কিছু লিখেছিল সেদিন? তার চোখে কি ছিল দুই ফোঁটা জল? আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে।