যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে দিনের পর দিন ঘুরেছেন মঈনুস সুলতান। মিশেছেন বিচিত্র মানুষের সঙ্গে। যুদ্ধ আফগানদের জীবন বদলে দিয়েছে, বিত্তশালী পরিণত হয়েছেন মিসকিনে; তালেবানদের যুগে রুদ্ধ হতে বসেছিল কবি-শিল্পীদের সৃজনশীল কর্মকাণ্ড এবং এর ভেতরেই তাঁরা সৃষ্টির জন্য নতুন নতুন পথ বেছে নিয়েছেনএসব কাহিনির মর্মন্তুদ, কৌতূহলোদ্দীপক ও সরস -বর্ণনা দিয়েছেন লেখক এই বইয়ে। যুদ্ধের আবহের ভেতরও কাবুলের এক কার্পেটের দোকানে বসে মহিলা কবিদের গুপ্ত মাইফেল। সেই মাইফেল থেকে ফেরার সময় যশস্বী কবি শায়ের বাবা লেখককে বলেন, ‘অনেক দূর দেশ থেকে এসে তুমি মাইফেলে বসলে, আগামীতে তোমার জন্য এ আসন শূন্য থাকবে।’ জঙ্গি লাটের কেল্লায় জোব্বা পরা খেদমতগার কালাশনিকভ রাইফেল থেকে আসমানের দিকে গুলি করে বিদেশি মেহমানদের জানায় খোশ আমাদেদ। সড়কে চাকাওয়ালা কাঠের কাঠামো ঘষটাতে ঘষটাতে সামনে বাড়েন পা-হীন ওস্তাদ হাকিয়ার। আর বোরকা পরা দুই নারী দুলে দুলে গায়-হে বিজ্ঞ পুরুষ, আমাদের রাস্তা দেখাও।’ এই বইয়ে কত বিচিত্র মানুষের গল্প, পড়তে পড়তে পাঠক লেখকের সঙ্গে থাকবেন; থাকবে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর নতুন নতুন অভিজ্ঞতার আনন্দ।
মঈনুস সুলতান
মঈনুস সুলতান একাধারে কবি ও গল্পকার। ভ্রমণ কাহিনী লিখে খ্যাতি অর্জন করেছেন। মঈনুস সুলতানের জন্ম ১৯৫৬ সালে, সিলেট জেলার ফুলবাড়ী গ্রামে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যাস চুসেটস-এ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষা বিষয়ে ডক্টরেট করেন। খন্ডকালীন অধ্যাপক ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস এবং স্কুল অব হিউমেন সার্ভিসেস-এর। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আফ্রিকার ভিজিটিং স্কলার ছিলেন। শিক্ষকতা গবেষণা ও কন্সালট্যান্সির কাজে বহুদেশ ভ্রমণ করেছেন।