মণীন্দ্র গুপ্তকে নিয়ে লেখাটি শুরু করেছিলাম ২০০৪ সালে, এরপর ২০১৬ সালে সরকার আশরাফ সম্পাদিত নিসর্গ-এ যখন ছাপতে দিই তখনও সেটি মনমতো করে তুলতে পারিনি, এরকম একজন কবিকে নিয়ে মনমতো কিছু লেখা অসম্ভব মনে করেই শেষপর্যন্ত এই বইয়ে সেটি যুক্ত হলো। সৈয়দ শামসুল হকের কবিতা পড়ছি ছোটোবেলা থেকে, কিন্তু কৃত্তিবাস পঞ্চাশ বছর : নির্বাচিত সংকল-এ সৈয়দ শামসুল হকের কয়েকটি পারাবত' কবিতাটি পড়ে আলোড়িত হই, পরে সেই সূত্র ধরেই তাঁর একক ও বিচিত্র কবিতার জগতে ঢোকার সুযোগ হয়, লেখাটি উত্তরাধিকার-এ প্রকাশিত হয়। সঞ্জয় ভট্টাচার্য আমার পছন্দের কবি ও গদ্যকার, এবং অন্য অর্থে প্রিয় (ট্রাজিক) চরিত্রও। এই লেখায় তিরিশের দশকের কাব্যতৎপরতার পাশাপাশি কিছু অপ্রিয় প্রসঙ্গের উত্থাপন অনিবার্য ছিল, সেটি প্রকাশিত হয় সিরাজ সালেকীন সম্পাদিত উলুখাগড়ায়। দিলওয়ারের মৃত্যুর পর কালি ও কলম-এর তৎকালীন সম্পাদক আবুল হাসনাতের আহ্বানে ওই পত্রিকার জন্য 'দিলওয়ারের কবিতা : সূর্য অস্ত যায় না কখনো আলোচনাটি লিখি, পরে সেটি বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত দিলওয়ারের নির্বাচিত কবিতা সম্পাদনাকালে ভূমিকারূপে যুক্ত হয়। আবুল হাসানের কবিতাকে নিয়ে লিখতে নিয়ে নিজের কবিতালেখার সময়ে ফিরে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল কবি সরকার আমিনের আহ্বানে, সেটি উত্তরাধিকার-এ প্রকাশিত হয়। শোয়েব শাদাব, সরকার মাসুদ ও কিশওয়ার ইবনে দিলওয়ারকে নিয়ে লিখিত ‘তিনজন কবি লেখাটি ছাপা হয় ফজলুরহমান বাবুল সম্পাদিত ঋতিতে। বৈশাখী পূর্ণিমায় লিখিত গদ্যটি এক বৈশাখী পূর্ণিমায় লিখি, ছাপা হয় জিললুর রহমান সম্পাদিত যদিও উত্তরমেঘ পত্রিকায়। দ্বিতীয় পর্বে কয়েকটি পছন্দের কবিতাবই আর তৃতীয় পর্বে রয়েছে পছন্দের কয়েকটি কবিতা নিয়ে আলোচনা। ছাপা হয়েছে সন্জীদা খাতুন সম্পাদিত বাংলাদেশের হৃদয় হতে, শহীদ ইকবাল সম্পাদিত চিহ্ন, অনিকেত শামীম সম্পাদিত লোক, জুলফিকার রাসেল সম্পাদিত বাংলা ট্রিবিউন, পুলিন রায় সম্পাদিত ভাস্কর, নাজমুল হক নাজু সম্পাদিত ঘাস এবং অপূর্ব সোহাগ সম্পাদিত দাহপত্র-এ। দুইটি আলোচনার কথা বাদ দিলে সব লেখাই বিভিন্ন সময়ে কবিতা পড়ার পরে স্বতঃতাড়নায় লিখিত। জলধির স্বত্বাধিকারী নাহিদা আশরাফী বইটি বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করায় আনন্দিত।