অতীতবিধুরতা বা স্মৃতিকাতরতাই হয়ত লেখক বানিয়েছে জুনাইদুল হককে। কিংবা লেখক না হয়ে তার উপায় ছিল না। তিনি গল্প লেখেন মানব-মানবীর সম্পর্ক নিয়ে, সমাজের গভীর অসুখ নিয়ে, রাষ্ট্রের অনাচার নিয়ে। তার গদ্য আকর্ষণীয়, মনোবিশ্লেষণ হৃদয়গ্রাহী। নানা বয়সী মানুষের একাকীত্ব ও বিষাদ তার প্রিয় বিষয়। প্রিয় আমাদের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ, প্রিয় আমাদের অগণিত দুঃখী, দরিদ্র মানুষ। দেশ ও তার মানুষের প্রতি তিনি লালন করেন গভীর মমতা।
জুনাইদুল হক জুনাইদুল হক জম্মেছেন ১৯৫৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি, কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদীর বোয়ালিয়াতে। পড়াশোনা করেছেন সেন্ট গ্রেগরীজ উচ্চ বিদ্যালয়ে, ঢাকা মহাবিদ্যালয়ে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে। স্বপ্ন দেখতেন শিক্ষক হবেন বা সার্বক্ষণিক লেখক। হতে হয়েছে এনজিও, ব্যাংক ও এয়ারলাইনের কর্মকর্তা। ১৯৮২ সালে সরকারি কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েও সে চাকরিতে তার যোগ দেওয়া হয়নি।
কৈশোরে ও তারুণ্যের প্রচুর লিখেছেন জুনাইদুল হক। বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই। কর্মজীবনের ব্যস্ততায়, বিষাদে ও অবসাদে পনেরো বছর প্রায় কিছুই লেখেন নি। গত দশ বছর ধরে বিরামহীন লিখে চলেছেন। আর থামার ইচ্ছে নেই। গল্প লেখা তার সবচেয়ে প্রিয় কাজ।