‘আমি ব্যাগ কোথায় রাখব, সেটা তুই বলার কে? যতসব চাষাভূষা-মূর্খ লোকজন আমাকে ঠিক-বেঠিক শেখাতে আসছে!’...
হাসিব মনে মনে বলল, ‘Ad Hominem! অপ্রাসঙ্গিক ব্যক্তি আক্রমণ। ব্যাগ রাস্তায় রাখা যাবে না, এই কমনসেন্সের জন্য ছেঁড়া জামা কিংবা চাষাভূষা হওয়ার কোনো সংযোগ নেই। এখানে যেটা হয়েছে, সেটা একটা Logical Fallacy। যুক্তির ভ্রান্তি...
হাসিবের মাথার ভেতরে যুক্তির ভ্রান্তিগুলো ঘুরতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় বিতর্ক করতে সে দারুণ ভালোবাসত। এই যুক্তির ভ্রান্তিগুলো তখন মাথায় রাখাটা খুব জরুরি ছিল। এগুলো অবশ্য এখনো জরুরি। জীবনে চলতে-ফিরতে কত জায়গায়ই না এসব দেখা যায়! এগুলো থেকে সতর্ক হওয়াটা দরকার...
তাই বলে তুমি এমন করো, তর্কে জেতার জন্য- এমন করেই বদলাও কথা মানে হয়ে যায় অন্য
চমক হাসান
চমক হাসানের জন্ম ২৮ জুলাই, ১৯৮৬ কুষ্টিয়ায়। বাবা আহসানুল হক মা নওরাজিস আরা জাহান। এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া কুষ্টিয়াতেই। এরপর বুয়েট থেকে তড়িৎকৌশলে স্নাতক এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যারােলাইনা থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। বর্তমানে গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন বােস্টন সায়েন্টিফিক করপােরেশন’-এ। স্ত্রী ফিরােজা বহ্নি এবং কন্যা বিনীতা বর্ণমালার সঙ্গে থাকেন ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা ক্লারিটা শহরে।
তার ভালাে লাগে গাইতে পড়তে শিখতে শেখাতে। চমক হাসান আশাবাদী মানুষ স্বপ্ন দেখেন আলােকিত ভবিষ্যতের যখন এ দেশের ছেলেমেয়েরা আনন্দ নিয়ে লেখাপড়া করবে প্রশ্ন করতে ভয় পাবে না মুখস্থ করে পাস করবে না । ওরা অনুভব করবে কেন কীভাবে কী হচ্ছে! গণিত অলিম্পিয়াড শুরুর সাথে সাথে এই আন্দোলনটাও শুরু হয়ে গেছে। তিনি সেই আন্দোলনের একজন কর্মী। গণিত অলিম্পিয়াডের একাডেমিক দলে প্রশিক্ষক প্রশ্নপ্রণেতা ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করেছেন বেশ কিছুদিন। পাঠকের যেকোনাে মন্তব্য তার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।