প্রধান চত্বরে থেমে যায় গাড়ি। হ্যান আর সায়ার গাড়ি থেকে নেমে ভাড়া মিটিয়ে সামনে তাকায়। সামনে তামা রঙের বিশাল দুটি মূর্তি। অন্তত একশ ফুট উঁচু তো হবেই। এতো বিশাল মূর্তি আর কোথাও দেখা যায় না। মূর্তিদুটোর পরনে যোদ্ধার পোশাক। সামনের মূর্তিটা মহাবীর সেনাধ্যক্ষ ডিওডেরাসের আর ঠিক তার কাঁধের সাথে কাঁধ মিশিয়ে বাম দিকে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য একটা মূর্তি দেখা যাচ্ছে; চুলগুলো দুপাশের চোখের উপর দিয়ে নেমে গেছে। এই মূর্তির মাঝেও তার চোখের ধারালো দৃষ্টি অনুভব করা যাচ্ছে। সামনে দাঁড়িয়ে থাকে এই মূর্তিও প্রাচীন সেই মহাবীরের প্রতি শ্রদ্ধা এনে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এর নামই আশিহা। মহান আশিহা; সহস্র বছর আগে যার কারণেই রক্ষা পেয়েছিল সমগ্র মানবজাতি।
গল্পটা এক অন্ধকার দ্বীপের, সমুদ্র পেরিয়ে অন্ধকার অংশে যে দ্বীপের অবস্থান। যে দ্বীপে আছে অসম্ভব শক্তিশালী এক পাথর। আর পাথরের পাহারায় আছে রূপকথার ভয়ংকর প্রাণী নিন্নাহার। তিন তিনবার যেখানে গিয়ে বিফল হয়েছে নেহরার রাজ্যের যোদ্ধারা। ফিরে এসেছে মাত্র একজন, মৃত্যুঞ্জয়; যে মানুষটা মরতে জানে না। আবারও যোদ্ধাদের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় নেহরার রাজা। এবারের অভিযান কি সফল হবে?
মাজান রাজ্যের সেরা চোর এলিসার কাঁধে এসে পড়ে অবিশ্বাস্য এক দায়িত্ব। যেটা করতে পারলে তার স্বপ্ন সত্যি হবে। বের করে নিয়ে আসতে হবে নেহরার রাজ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর অপরাধীকে।
মাঝ সমুদ্রে হঠাৎ দ্বীপের অভিযানে শত্রু হিসেবে আবির্ভাব হয় সমুদ্রের ত্রাস জলদস্যু ডাওমিস। এরপরে আসে অনাকাঙ্ক্ষিত আরেক সমস্যা। যার সূত্রপাত সহস্র বছর আগের সেই যুদ্ধে; যে যুদ্ধে মানবজাতি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল শয়তানের অনুসারী দিদিয়ানদের।
আমিনুল ইসলাম
আমিনুল ইসলামের জন্ম কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানার রহিমপুর গ্রামে। পিতা স্কুল শিক্ষক মোঃ নুরুল ইসলাম, মায়ের নাম আনোয়ারা খাতুন। শৈশোব থেকেই বই পড়া ছিলো তার একমাত্র নেশা। ২০০১ সালে কিশোরগঞ্জ সদরের হাশমত উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০০৩ সালে আলীনেওয়াজ খান কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরবর্তিতে পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অয়াকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টে। ইতিহাস, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সমসাময়িক ঘটনাবলী নিয়ে গবেষণা করতে ভালোবাসেন। সেই ভালোবাসা থেকে ২০২০ সালে প্রথম বই লিখেন "গল্পে গল্পে বিশ্ব ভ্রমণ"।