যুদ্ধাপরাধের সঠিক সজ্ঞা কী? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে মানুষের তা জানা ছিল না। বিশ্বযুদ্ধের পর এ ব্যাপারটি মানুষের সর্বজনগ্রাহ্য হতে থাকে। জেনেভা কনভেনশনের পথ ধরে আর ন্যুরেমবার্গ বিচার দৃষ্টান্ত সামনে রেখে এ ব্যাপারে ক্রমেই মানুষ হতে থাকে সচেতন ও সোচ্চার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই বিশ্বের বহুদেশে যুদ্ধাপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তবে পৃথিবীর সব দেশে এযাবৎ সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ এই গ্রন্থে আলোচিত নয়। বেছে নেওয়া হয়েছে প্রধান কয়েকটি দেশের প্রসঙ্গ। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ইরাক, বসনিয়া, ভিয়েতনাম যুদ্ধের ভয়াবহ চিত্র গুরুত্ব সহকারে উঠে এসেছে এই গ্রন্থে। বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত হালআমলের খবরাখবরের প্রতিও ‘আপ টু ডেট’ থাকার চেষ্টা করেছেন লেখক। স্বল্প পরিসরে হলেও ঊর্মি রহমানের যুদ্ধাপরাধের ওপর এই মুল্যবান গ্রন্থ রচনার উদ্যোগ সত্যিই যুযোপযোগী এবং প্রশংসনীয়। পাঠকরা গ্রন্থটি পাঠ করে যুদ্ধাপরাধের ব্যাপারে আরো সচেতনতাবোধ করবেন এবং তাঁদের করণীয় সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ হবেন।
উর্মি রহমান
উর্মি রহমানের জন্ম খুলনায়। শৈশব কেটেছে বন বিভাগের কর্মী বাবার সাথে সুন্দরবন ও পার্বত্য চট্টগ্রামে। লেখাপড়া ঢাকা, খুলনা এবং সবশেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পাবার পর দৈনিক সংবাদ-এ যোগ দেবার মাধ্যমে সাংবাদিকতায় হাতে-খড়ি। এরপর বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউট এবং উইকলি হলিডেতে সার্বক্ষণিক এবং সাপ্তাহিক বিচিত্রা, দৈনিক বাংলা, দৈনিক দেশসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় খণ্ডকালীন কাজ বা লেখালেখির পর বিবিসি ওয়াল্ড সার্ভিসে যোগদানের জন্য দেশ ছাড়েন। বর্তমানে লন্ডনের একটি স্থানীয় সরকারে কর্মরত। দৈনিক জণকণ্ঠের যুক্তরাজ্য সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বিলেতের পত্র-পত্রিকাতেও লেখেন। স্বামী সাগর চৌধুরী এবং একমাত্র পতু রূপক রহমানকে নিয়ে উর্মি রহমান লন্ডনে বাস করছেন তিন দশকের কাছাকাছি। ঊর্মি রহমানের প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ব্রিকলেন: বিলেতের বাঙালিটোলা, আমাদের সময়, নারীমুক্তির প্রশ্নে, পশ্চাত্যে নারী আন্দোলন, সমান্তরাল, অতিথি, এদেশে সেদেশে, বিলেতে বাঙালি: সংগ্রাম ও সাফল্যের কাহিনী, নস্টালজিয়া ও অন্যান্য গল্প, পুপুর ভাবনা ও একটি সকাল। বিলেতের প্রকাশক ফ্রান্সিস লিঙ্কন প্রকাশ করেছে ঊর্মি রহমানের শিশুতোষ গ্রন্থ বি ইজ ফর বাংলাদেশ।