মূলত এই পুস্তিকায় যুবসমাজের প্রতি জরুরী কিছু উপদেশ রয়েছে, জীবনের এই মূল্যবান সময়ের প্রতি তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য। যে সময়ে শক্তি থাকে পরিপূর্ণ । মনোবল থাকে সুদূরপ্রসারী আর আশা-আকাঙ্খা এবং হিম্মত থাকে অটুট। এই সময়টি গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বোত্তম হওয়া সত্ত্বেও কালের পরিক্রমায় মানুষ যৌবন হারিয়ে তারপর বেদনা ও আফসোসের শিকার হয়। যুগের বিবর্তনে তার কাছে সুপরিচিত বিষয়গুলো যেন অপরিচিত লাগতে শুরু করে। চেনা-জানা সবকিছু অজানা অচেনা লাগে। ইমাম আহমদ রহ. বলেন-
আমার কাছে মানব জীবন থেকে যৌবন হারানোর দৃষ্টান্ত হল
"জামার আস্তিনের মধ্যে থাকা কোন কিছু হারিয়ে ফেলার মত"
সুতরাং যুবসমাজের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন হল এমন এক ব্যক্তির, যিনি তাদেরকে জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের ব্যাপারে সতর্ক করবেন, উপদেশ দিবেন ও সাহস বাড়াবেন। সেই সাথে মহান ভালো কাজ আঞ্জাম দেয়ার ব্যাপারে তাদের শক্তি ও সচেতনতা বৃদ্ধি করবেন। অনুরূপভাবে তাদের জন্য প্রয়োজন জীবন পথের বিভিন্ন পদস্খলন সম্পর্কে সতর্ক করা; যা তাদের উদাসীন চোখ এড়িয়ে যায়। অতি উচ্ছাসে অস্থির প্রবণতার কারণে তারা সেগুলো বুঝে উঠতেও পারে না। বক্ষমান পুস্তিকাটি মুসলিম যুবসমাজের জন্য একটি পয়গাম- যেখানে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে যুবতারুণ্যের নৈতিক অধপতন সম্পর্কে এবং সচেতনতার সাথে নৈতিক গঠনের ছবক বা গাইডলাইন পেশ করা হয়েছে।