দিকচিহ্নহীন এ জটিল সময়ে মানুষে-মানুষে সম্পর্কের সমীকরণ দ্রুত বদলায়, খুব কাছের মানুষগুলোরও মুখ আর মুখোশ আলাদা করা যায় না। সুমিত, রিয়া, আশিক, রুবিনা, শায়লা সবাই সেই অনিশ্চিত জীবন পথেরই পথিক; কে যে কার কাছে আশ্রয় খুঁজে পাবে বোঝা কঠিন। যাও উত্তরের হাওয়া-র নাতিদীর্ঘ পটভূমিতে খোঁজার চেষ্টা হয়েছে মানবজীবনের এমন কত দুরূহ প্রশ্নের উত্তরÑভালোবাসা কি অলৌকিক কোনো অর্জন, নাকি জীবনের জটিল হিসাব-নিকাশের ফল? একসঙ্গে কতটা পথ পাড়ি দিলে অর্জন করা যায় নির্ভরতার শান্তি? প্রেম আর ঘৃণা কি একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ নাকি তাদের দূরত্ব যোজন-যোজন? এসব প্রশ্নের উত্তর যে মিলবে তা নয়, তবে কাছে আসা আর দূরে যাওয়া, সহজ সত্য আর কঠিন ছলনা, আশা আর হতাশ্বাসের অবিরাম দোলাচলের মধ্যেও ভালোবাসা আর বিশ্বাসের ওপর আস্থা রাখতে হয়, যাও উত্তরের হাওয়া নরম নিমগ্ন গলায় সে কথাই বলে যায়।
মোস্তাক শরীফ
জন্ম ১৯৭৪ সালে, ফেনী শহরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর। বর্তমানে একই বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। পাঠ্যপুস্তক রচনার মাধ্যমে লেখালেখির শুরু; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞানচর্চার ইতিহাস এবং তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে দুটো বই লিখেছেন। প্রথম উপন্যাস সেদিন অনন্ত মধ্যরাতে অ্যাডর্ন-এর নবীন ঔপন্যাসিকদের প্রথম উপন্যাস প্রকাশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রচিত। এরপর আরও দুটো উপন্যাস এবং একটি অনুবাদগ্রন্থ রচনা করেছেন। তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকতায় জড়িত এক দশকেরও বেশি সময়। পিএইচডি করেছেন পল্লী উন্নয়নে তথ্যসেবার ভূমিকা নিয়ে। স্ত্রী পলি, পুত্র আরাফ ও কন্যা মাইসারাকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাস।