মনের ভাব প্রকাশের প্রধান ও প্রথম মাধ্যম হলো ভাষা। ভাষা প্রকাশ করতে শব্দ-বাক্য লাগে। সার্থক বাক্য হতে হলে যেমন সার্থক পদক্রম লাগে তেমনি লাগে যতিচিহ্ন। যতিচিহ্ন বাক্যে সঠিক অর্থ প্রকাশ করতে সাহায্য করে। যতিচিহ্ন ভাষা বা সাহিত্যের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকরণ।
ছোটবেলা থেকে যতিচিহ্নের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গড়ে উঠলেও অবহেলার কারণে সম্পর্কটি তেমন গাঢ় হতে পারেনি। যতিচিহ্ন পড়তে হয় শুধু ব্যাকরণের একটি অঙ্গ হিসেবে। ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সচেতনভাবে যতিচিহ্ন ব্যবহার করা হচ্ছে। দাঁড়ি বাদে যতিচিহ্নের সবগুলোই ইংরেজি ভাষা থেকে নেওয়া বলে এদের নাম ইংরেজি নাম অনুসারেই লেখা হচ্ছে। পরে যতিচিহ্নগুলোর বাংলা নাম হয়েছিল তবে কঠিন এবং ব্যবহারের সঙ্গে মিল না থাকায় নামগুলো টেকেনি।
যতিচিহ্নের ডাকনাম সহজ এবং ব্যবহার উপযোগী হলে ভালো হবে বলে এদের নতুন নাম দেওয়া হয়েছে। জটিলে না গিয়ে সহজভাবে যতিচিহ্ন ব্যবহারের নিয়ম উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি, গ্রন্থটি শিক্ষার্থীসহ সবার কাজে লাগবে।