ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জোড়াসাঁকোর সীমানা ছাড়িয়ে ভুবনজোড়া তাঁর খ্যাতি। সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নানা কর্মের জন্যই আমাদের কাছে প্রতিদিনের উচ্চার্য এক নাম। তাঁর একক সাধনায় নীলমণি ঠাকুরের হাতে গড়া জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি হয়ে গেছে বাঙালি জাতির এক তীর্থভূমি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম অঙ্গে ধারণ করে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে পৃথিবীর মানুষের কাছে পরম এক উত্তরাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে বিস্ময়কর সব প্রতিভাবানের সমাবেশ ঘটেছিল, সমাবেশ ঘটেছিল স্মরণীয় বহু পতিভাময়ীর। দ্বারকানাথ, দেবেন্দ্রনাথ, দ্বিজেন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ, গগনেন্দ্রনাথ, অবনীন্দ্রনাথ, স্বর্ণকুমারী, ইন্দ্রিরা দেবী- কী উজ্জ্বল থোকা থোকা একগুচ্ছ নাম জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে জড়িয়ে আছে! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছাড়াও আরো প্রায় অর্ধ-শত লেখক-শিল্পী-গুণীর ছোঁয়ায় জোড়াসাঁকো ধন্য হয়েছে, উজ্জ্বল হয়েছে ঠাকুরবাড়ির শিল্প-প্রদীপ। বাংলাদেশের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এক পরিবারে নাম জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি। ওই বাড়িতে আবির্ভূত সমবেত শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীর নির্বাচিত রচনাপঞ্জি নিয়ে প্রকাশিত হলো জোড়াসাঁকো থেকে বলছি। এই বই বাংলাদেশের উজ্জ্বল এক পরিবারের আঙিনায় সমবেত প্রতিভাবানদের সঙ্গে আমাদের পরিয় করিয়ে দেবে; আমাদের কাছে জ্ঞাপনকরবে ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলের নানা কথা। সন্দেহ নেই, সঙ্কলিত স্মৃতিকথাগুলো পাঠকের কাছে এই মহার্ঘ্য সম্পদ বলে বিবেচিত হবে। তৎকালীন সমাজ-রাজনীতি-অর্থনীতিরও অনেক সংবাদ জানা যাবে গ্রথিত রচনাপঞ্জি থেকে।