বাবা, আমি তাের মা বলছি।
সেই যে দুই বছর আগে বাড়ি ছেড়ে গেলি- অভাগী মাকে একবারও কি মনে পড়ে না? মনে পড়ে না তাের বাবাকে? কি করে এত সহজে ভুলে গেলি তাের চির চেনা গেরাম আর নাড়ীকাটা বাড়ী?
দুই বছর হলাে তুই শেষ চিঠি দিয়েছিলি। তাের বাবা চিঠি পড়ে সেদিন ভীষণ রকম কেঁদেছিলেন। নিজেকে অনেক শাস্তি দিয়েছেন। সেদিন অনুর দুপুরের খাবার কেড়ে নিয়েছিল বলে তাের চিঠি পাওয়ার পর থেকে আজ অব্দি তাের বাবা দুপুরে খান না। যে হাতে অনুর গালে থাপ্পর লাগিয়েছিলাে সে হাতটা তাের চিঠি পাওয়ার দিন থেকে অকেজো করে রেখেছে। তুকে আর অনুকে মুখ দেখাতে পারবে না বলেই আর চিঠি লিখেনি তাের বাবা। প্রতিটা রাত কাটে তার চোখের জলে। তাের বাবাকে আর শাস্তি দিস না বাবা। আমার আদরের নাতিকে দাদা-দাদীর স্নেহ বঞ্চিত করিস না। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আয়।