ভালোবাসার একটা অদ্ভুত বৈপরিত্য আছে। এটা একই সাথে একদিকে যেমন চরম স্বার্থপর ও অন্যদিকে তেমনি সর্বত্যাগী করে তোলে। কে কখন কাকে ভালোবাসবে তা যেমন অনিশ্চিত, তেমনি অনিশ্চিত এর ব্যক্তিক, পারিবারিক ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া। প্রকৃত ভালোবাসার কাছে জীবনের অন্যান্য সব অনুসঙ্গ তুচ্ছ বলে মনে হয়। এজন্য কেউ কেউ জীবনের সবচেয়ে কঠিন ঝুকি নিতেও কার্পণ্য করে না। আবার ভালোবাসার শক্তি প্রেমিক-প্রেমিকাকে অসীম শক্তি ও সাহস যোগায় যা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করে। স্বাভাবিক জীবন থেকে নির্বাসিত পাশা ও প্রীতির এমনই এক কাহিনী এই উপন্যাসের উপজীব্য। সম্পূর্ণ সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে রচিত এই উপন্যাসের চরিত্রগুলোও সত্য। কোথাও সরাসরি নাম ব্যবহার করা হয়েছে, আবার কোথাও প্রয়োজনে নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু তার চরিত্রের ভূমিকা পরিবর্তন হয়নি। স্রোতের বিপরীতে যুদ্ধ করে অপরিণত সময়ের ভালোবাসা বাঁচিয়ে রেখে জীবন যুদ্ধে জয়ী হবার প্রেরণাদায়ী অনবদ্য বাস্তব ঘটনাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে উপন্যাসের কাহিনি।