কবিতাই মানুষের প্রকৃত আপনজন। বন্ধুদূরত্ব তৈরি করে নিতে পারে, আত্মীয় হয়ে উঠতে পারে অ-পরিচিতজন, সম্পর্ক জড়িয়ে নিতেপারে বিচ্ছেদের পোশাক, প্রতিষ্ঠা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে, সাফল্য হাতের তালু থেকে ঝাঁপদিতে পারে অবেলায়, প্রেম প্রস্থান করতে পারে ভোরের শিউলিফুলেরমতো, কিন্তু কবিতা; কবিতা কখনো বিভক্তির পথে হাঁটে না, হাঁটতে পারে না। বরং কবিতাদুঃসময়ে হয়ে উঠে প্রিয়তম। কবিতার আশ্রয়ে মানুষ একাকিত্বের আঘাতেও খুঁজে পায় সঙ্গ,খুঁজে পায় অমরত্ব।
অরিত্র দাস
ইতিহাস, সমাজ এবং বাস্তবতা-সচেতন প্রতিশ্রুতিশীল লেখক অরিত্র দাস। জাতীয় পটভূমি, সমসাময়িক ঘটনা বা কাহিনীর অবতারণায় জনজীবন ও সমাজ-সংস্কৃতি তাঁর রচনার মূল উপপাদ্য বিষয়। জীবনপ্রণালির প্রাত্যহিকতা থেকে বেছে নেওয়া শব্দের ব্যবহারে তিনি প্রকাশ করেন তাঁর বক্তব্যের প্রত্যক্ষতা। ২০১৯ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দীপালি’। ২০২০ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস ‘সম্পর্কের সুতোয়’। উপন্যাস দুটি পাঠক মহলে বেশ সমাদৃত হয়। ২০২১ সালে প্রকাশিত হচ্ছে তৃতীয় বই 'প্রতিক্রিয়া'। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কলাম লিখেন অরিত্র দাস। প্রায় প্রতিটি জাতীয় দৈনিকে তাঁর কলাম নিয়মিত ছাপা হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশুনা করেছেন বরিশাল অমৃত লাল দে কলেজে। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। অরিত্র দাসের জন্ম বরিশাল জেলার গৌরনদী থানার রামনগর গ্রামে।